ইন্দো-প্যাসিফিকের দৃষ্টিতে সম্পর্ক গড়তে চায় ব্রিটেনও

ইন্দো-প্যাসিফিকের দৃষ্টিতে সম্পর্ক গড়তে চায় ব্রিটেনও

যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডারসেক্রেটারি আজরা জেয়া গত সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে এসে আরো উন্মুক্ত ও অবাধ ইন্দো-প্যাসিফিক গড়তে বাংলাদেশকে অপরিহার্য অংশীদার বলে মন্তব্য করেন। এবার যুক্তরাজ্যও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে তার ইন্দো-প্যাসিফিক লক্ষ্যের আলোকে দেখছে।


ব্রিটিশ পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন দপ্তর গত সোমবার ‘যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ উন্নয়ন অংশীদারির সারমর্ম, জুলাই ২০২৩’ শীর্ষক নীতিগত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাজ্যের ছয়টি লক্ষ্য স্থান পেয়েছে।


এর প্রথমেই নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, শৃঙ্খলাভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা সমুন্নত রাখে এমন অবাধ, উন্মুক্ত ও নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে জোরালো ও ফলপ্রসূ সম্পর্ক সৃষ্টি ও বজায় রাখবে। যুক্তরাজ্য তার জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ ও অভিবাসন ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে একটি স্থিতিশীল, নির্ভরযোগ্য ও মানবাধিকার সমুন্নত অংশীদার হিসেবে থাকতে সহযোগিতা করবে। বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় লক্ষ্য গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও রীতিনীতির বিষয়ে। এ লক্ষ্য অর্জনে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ সরকার, নাগরিক সমাজ, যুব, রাজনৈতিক দল এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করবে।


বৃহত্তর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান, লিঙ্গ সমতা এবং সংঘাত নিরসনের ক্ষমতাসহ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো উন্মুক্ত, গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে যুক্তরাজ্য সহযোগিতা করবে।


বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাজ্যের তৃতীয় লক্ষ্য নারী ও কন্যাশিশু এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্য বিষয়ে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের জনগণ, বিশেষ করে নারী ও কন্যাশিশুর অধিকার, শিক্ষা ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে।


বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের চতুর্থ লক্ষ্য অর্থনৈতিক সংস্কার, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ নিয়ে।


প্রতিবেদনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ‘আমরা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ অংশীদারিত গড়ে তোলার সময় উচ্চ-মধ্যম আয়ের স্থিতিতে পৌঁছাতে সহায়তা করার জন্য মূল সংস্কারগুলোর বিষয়ে বাংলাদেশকে সমর্থন করব।’



বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে আরো জোরালো সম্পর্ক গড়ার পরিকল্পনার কথা বলেছে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর। পঞ্চম লক্ষ্য হিসেবে বলা বলেছে, ‘যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশের প্রতি প্রতিশ্রুতিশীল এবং আরো জলবায়ু সহনশীল, কম কার্বন-নিবিড় এবং পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশের জন্য সরকারের প্রচেষ্টায় অবদান রাখবে—আমরা এটি নিশ্চিত করার চেষ্টা করব।’ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলোর সঙ্গে আরো ভালোভাবে খাপ খাইয়ে নিতে জনগণকে সহায়তা করার জন্য যুক্তরাজ্য বিভিন্ন কর্মসূচি, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ব্যবহার করবে।


বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের ষষ্ঠ লক্ষ্য রোহিঙ্গা ও দুর্যোগ প্রস্তুতির বিষয়ে।


ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ‘আমরা সংকট সমাধানের জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে এবং জবাবদিহির আহ্বান জানাতে আমাদের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য পদকে ব্যবহার করব। আমরা বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বৃহদাকারে জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা প্রদান করব এবং দীর্ঘস্থায়ী সংকটের আরো টেকসই প্রতিক্রিয়ার পক্ষে কথা বলব।’ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি ও কার্যকরভাবে সাড়া দিতে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে কার্যকরভাবে সহায়তা করবে।


অর্থসংবাদ/এসএম

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পোশাকখাতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে, কমে গেছে চাহিদা
২০২৩ সালে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশ
২০২৩ সালে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ১০ শতাংশ
ইভ্যালিতে বড় অফার আজ, ১০ টাকায় মিলবে পাঞ্জাবি
হিলিতে আদা-সবজিতে স্বস্তি, বাড়তি দামে রসুন
বাংলাদেশে বিনিয়োগের ঐক্যমতে শেষ হলো গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্স
১১ মাসে ৪৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি
২০২৪ সালে ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর
আইসিএবির নতুন সভাপতি ফোরকান উদ্দীণ
বিসিক শিল্পনগরীতে এক হাজার ৯৮ প্লট খালি