খাদ্যশস্য আমদানিতে ব্যয় ছাড়ালো এক লাখ কোটি টাকা

খাদ্যশস্য আমদানিতে ব্যয় ছাড়ালো এক লাখ কোটি টাকা

সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১০ মাসে কৃষি ও খাদ্যজাত পণ্য আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা। ‘এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের খাদ্য অধিকার এবং কৃষি খাদ্য ব্যবস্থা সম্মেলনে’ এ তথ্য উঠে আসে।


২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে চাল ও গমের ব্যবহার (আমদানি ও উৎপাদন) ছিল প্রায় ৪ কোটি ৫৪ লাখ টন। কিন্তু সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে সেটি কমে ৪ কোটি ৪৪ লাখ টনে নেমেছে। ফলে কোভিড পরবর্তী বছরে প্রধান দুটি খাদ্যশস্যের সরবরাহ কিছুটা কম ছিল। যার প্রভাব বাজারে পড়েছে। এর ফলে চাল ও আটার দাম ঊর্ধ্বমুখী।


বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীতে দুইদিনব্যাপী ‘এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের খাদ্য অধিকার এবং কৃষি খাদ্যব্যবস্থা সম্মেলন ২০২৩’ শেষ দিনের সেশনে এসব তথ্য জানানো হয়।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে হওয়া সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন। ফিউচার ট্রাজেক্টরি অব অ্যাগ্রোইকোলজি ইন এগ্রিফুড সিস্টেম অ্যান্ড ইটস গভর্নন্যান্স শীর্ষক প্লেনারি সেশনের চেয়ার ছিলেন ক্রিশ্চিয়ান এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর নুজহাত জেবিন। প্যানেল আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আবদুল হামিদ, নেপালের কৃষি ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সঞ্জীব কুমার কর্ণ ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ ড. সিকান্দার খান তানভীর।



মূল প্রবন্ধে সাহানোয়ার সাইদ শাহীন বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশের প্রধান ৯ টি কৃষি ও খাদ্যশস্যের উৎপাদন ছিল ৬ কোটি ৩৪ লাখ টন। যা সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৭ কোটি ৫০ হাজার টনে উন্নীত হয়েছে। আবার গত ১৪ বছরে গড়ে প্রতি বছরে দেশে চালের ব্যবহার (উৎপাদন ও আমদানি) হয়েছে ৩ কোটি ৬৪ লাখ টন এবং গমের ব্যবহার হয়েছে ৫০ লাখ টন। কিন্তু গত দুই অর্থ বছরে গমের ব্যবহার ছিল ৫০ লাখ টনের নিচে। ফলে বাজারে গমের সরবরাহ তুলনামূলক কম থাকা ও বিশ্ব বাজারে পণ্যটির দাম বৃদ্ধির কারণে দেশের বাজারে আটার দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনটি চালের দামের তুলনায় আটার দাম বেশি হয়েছে।


সম্মেলনে সমাপনী অধিবেশনে বেশ কয়েকটি সুপারিশ গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের সুরক্ষার জন্য জলবায়ু সহনশীল, পরিবেশবান্ধব কৃষিব্যবস্থা গড়ে তোলা; সবার জন্য খাদ্য অধিকার আইন নিশ্চিত করা; কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থাকে ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই করার জন্য কর্পোরেট নিয়ন্ত্রিত কৃষি ব্যবস্থার পরিবর্তে জনবান্ধব কৃষি ও খাদ্যব্যবস্থা শক্তিশালী করা; সর্বোপরি, কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থায় বহুবিধ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা।


অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবীরের সভাপতিত্বে সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। এতে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, নেপালের জাতীয় পরিকল্পনা কমিশনের যুগ্ম সচিব ড. কিরণ রূপখেটি, ওয়েল্টহাঙ্গারহিলফে'র প্রতিনিধি সাসমিতা জেনা, হেইফার ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড ওয়ান হেলথ এশিয়া রিজিওনের সিনিয়র ডিরেক্টর দিলিপ ভান্ডারি প্রমুখ।


অর্থসংবাদ/এসএম

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পোশাকখাতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে, কমে গেছে চাহিদা
২০২৩ সালে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশ
২০২৩ সালে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ১০ শতাংশ
ইভ্যালিতে বড় অফার আজ, ১০ টাকায় মিলবে পাঞ্জাবি
হিলিতে আদা-সবজিতে স্বস্তি, বাড়তি দামে রসুন
বাংলাদেশে বিনিয়োগের ঐক্যমতে শেষ হলো গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্স
১১ মাসে ৪৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি
২০২৪ সালে ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর
আইসিএবির নতুন সভাপতি ফোরকান উদ্দীণ
বিসিক শিল্পনগরীতে এক হাজার ৯৮ প্লট খালি