ফ্রান্সে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি জুনে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি ছিল ৪ দশমিক ৫ শতাংশ, যা জুলাইতে কমে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় জ্বালানির দাম কমেছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। খাদ্যদ্রব্যের দাম গত বছরের তুলনায় ১২ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি থাকলেও জুনে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে। গত বছরের তুলনায় পরিবহন ব্যয় ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে যোগাযোগ পরিষেবাগুলো ৬ দশমিক ১ শতাংশ সাশ্রয়ী হয়েছে আগের তুলনায়। বাসা ভাড়া, পানি ও গৃহস্থালির বর্জ্য সংগ্রহ সম্পর্কিত ব্যয় ৩ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বছরওয়ারি ৯ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। প্রকৃত মূল্যস্ফীতি নির্ণয়ে দ্রুত পরিবর্তনশীল পণ্যগুলো বাদ দেয়া হয়, যা জুনে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে কমে জুলাইয়ে ৫ শতাংশে দাঁড়ায়।
অর্থনৈতিক মন্দা ভাব সত্ত্বেও ফ্রান্সের মূল্যস্ফীতি এখনো ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি রয়েছে, তবে তা এখনো লক্ষ্যমাত্রার ২ শতাংশের নিচে রয়েছে। যুক্তরাজ্য ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৭ দশমিক ৯ শতাংশ মূল্যস্ফীতির মুখোমুখি হয়েছে। অর্থনীতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি স্থবিরতা এড়াতে সক্ষম হয়েছে। বছরের প্রথম তিন মাসে অর্থনৈতিক পারফরম্যান্সের উন্নতি হয়েছে।
জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের অর্থনৈতিক ডাটা পরিচালক ড্যারেন মরগান জানায়, এ মাসগুলো শিল্প উৎপাদন খাত, বিশেষত অটোমোটিভ ও ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পগুলোর জন্য ইতিবাচক ছিল। অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট জানান, মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় গৃহীত পদক্ষেপগুলো ইতিবাচক ফলাফল দেখাচ্ছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড পূর্বাভাস করেছে দেশটি মন্দা এড়িয়ে যেতে পারে।
জি৭ দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি। মন্দা ভাব সত্ত্বেও ফ্রান্সের মূল্যস্ফীতি এখনো ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি থাকলেও ২ শতাংশের নিচে অবস্থান করছে।
উল্লেখ্য, আইএনএসইইই জরিপে ফ্রান্সের ২০২৩ সালের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকের জন্য প্রবৃদ্ধি বাড়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল দশমিক ১ শতাংশ। গৃহস্থালি ব্যয় সংকুচিত ও মূল্যস্ফীতির দৌরাত্ম্যে কিছুটা প্রভাবিত হয়েছে ভোক্তা ব্যয়। তার পরও বেড়েছে রফতানি। শিল্পোৎপাদন ও জ্বালানি উৎপাদন খাতের কার্যক্রম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। বছরওয়ারি জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি কমে ৪ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখিতার প্রধান কারণ জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম কমে আসা। দেশটিতে বছরের শুরুর দিকে ৬ শতাংশের বেশি ছিল মূল্যস্ফীতি। যদিও পরবর্তী দিনগুলোয় শিথিল হতে থাকে মূল্যসূচক।
অর্থসংবাদ/এমআই