চিঠিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্যে স্থিতিশীলতা আনার জন্য পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহতি দেওয়া যেতে পারে। বিটিটিসির চিঠিতে বিকল্প উৎস থেকে পেঁয়াজ আমদানির প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি নিজেদের বাজার সামাল দিতে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। তাতে দেশের বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম যেন অস্বাভাবিকভাবে না বাড়ে, এ জন্য পেঁয়াজের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে বিটিটিসি।
বিটিটিসির চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, সাধারণত দেশে প্রতিবছর আগস্ট থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধি পায়। ১৯ আগস্ট ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ শুল্ক বহাল থাকবে। বর্তমানে ভারতে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের দাম ২৮০ থেকে ৩০০ মার্কিন ডলার। নতুন শুল্ক আরোপের ফলে এ দাম বেড়ে দাঁড়াবে ৪০০ থেকে ৪২০ মার্কিন ডলার। তাতে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা বিটিটিসির। কারণ, দেশের বাজারে প্রতিবছর যে ৩০ শতাংশের মতো পেঁয়াজে ঘাটতি হয়, তার প্রায় পুরোটা ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। এ জন্য ভারতের বিকল্প আমদানি উৎস হিসেবে মিয়ানমার, তুরস্ক ও মিসর থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য টিসিবি ও বেসরকারি আমদানিকারকদের উৎসাহিত করা যায় বলেও মন্তব্য করেছে বিটিটিসি।
বিটিটিসির হিসাবে, দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ২৫ লাখ টনের মতো। দেশীয় কৃষকদের সুরক্ষা দিতে গত জুন পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র (আইপি) দেওয়া বন্ধ রেখেছিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)। তবে মে মাসের শেষ দিকে পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে ৪০-৪৫ থেকে ৮০-৯০ টাকা হয়ে যায়। ফলে আমদানির অনুমতি দেওয়া শুরু হয়।
ডিএইর তথ্যানুযায়ী, গত জুলাইয়ে শুরু হওয়া চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) এখন পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার টনের বেশি। যদিও অনুমতি দেওয়া হয়েছে ১৩ লাখ টনের। ভারত আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর শুল্ক বহাল রাখবে। তত দিনে বাংলাদেশেও নতুন মৌসুম শুরু হয়ে যাবে।
অর্থসংবাদ/এমআই