কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ২১ আগস্ট পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৫ মেট্রিক টনের বেশি আম রপ্তানি হয়েছে। অথচ গত বছর পুরো সময়টায় আম রপ্তানি হয়েছিল ১ হাজার ৭৫৭ মেট্রিক টন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চলতি বছর আম রপ্তানি আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এবারে রপ্তানি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আগামী বছর সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হতে পারে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে তা অর্জন করা সম্ভব বলে মনে হয়।
গত বছরের মতো এবারও বাংলাদেশের আম সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে যুক্তরাজ্যে। ইউরোপের এ দেশে এ বছর প্রায় ১ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন আম রপ্তানি হয়েছে। গত বছর এর পরিমাণ ছিল অর্ধেকের কম। এবার রপ্তানির তালিকায় নতুন ১০টি দেশ যুক্ত হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম প্রধান আম রপ্তানিকারক দেশ ভারতেও এবার বাংলাদেশের আম রপ্তানি হয়েছে।
নতুন রপ্তানি গন্তব্যের পাশাপাশি আম রপ্তানিকারকের সংখ্যাও বেড়েছে। গত বছর কাগজে-কলমে ৬০টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান থাকলেও এর মধ্যে ৫০টির বেশি প্রতিষ্ঠান আম রপ্তানি করেনি। তবে এ বছর ৭০-এর বেশি রপ্তানিকারক আম রপ্তানি করেছেন।
বাংলাদেশের অনেক রপ্তানিকারকের আম বিদেশে গিয়ে আবার ফেরত আসে মূলত উন্নত প্যাকেজিংয়ের অভাবে আম নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে। পাশাপাশি উড়োজাহাজের ভাড়া অপেক্ষাকৃত বেশি। তাতে অতিরিক্ত ব্যয় বহনের কারণে বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের আম পিছিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন বিক্রেতারা। তবে উড়োজাহাজের ভাড়া কমানো, প্যাকেজিংসহ অন্য উপকরণগুলো উন্নত ও সহজলভ্য করার জন্য চেষ্টা করছেন বলে জানান আম উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান।
অর্থসংবাদ/এমআই