বাংলাদেশের ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চাক্তাই খাতুনগঞ্জ। সেখানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল কেজিপ্রতি ৫৮-৬০ টাকায়। নতুন করে সরবরাহ বাড়ায় গতকাল সে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫২-৫৩ টাকা দরে। দাম কমেছে দেশী পেঁয়াজেরও। মূলত দিনাজপুরের হিলি, সাতক্ষীরার ভোমরা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ ট্রাকে করে প্রবেশ করায় দেশে পেঁয়াজের বাজার এখন নিম্নমুখী বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
আড়তদাররা জানান, ভারতীয় নাসিক পেঁয়াজ গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও গতকাল ছিল ৫২-৫৩ টাকা। ইন্দোরের পেঁয়াজ ৫৫ টাকার পরিবর্তে চলতি সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কানপুরের পেঁয়াজ গত সপ্তাহে ৫৫ টাকা বিক্রি হলেও এখন তা ৫০ টাকা কেজি। তবে চট্টগ্রাম অঞ্চলে নাসিকের চাহিদা বেশি থাকায় খাতুনগঞ্জে এ জাতের পেঁয়াজের আমদানি বেশি হয়। পাশাপাশি সাউথের নতুন বেলোরি জাতের পেঁয়াজও আমদানি করা হচ্ছে, সেগুলোও শিগগিরই বাজারে চলে আসবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ৩০ লাখ টন। সর্বশেষ রবি মৌসুমে দেশে রেকর্ড ৩৪ লাখ টনের বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। তবে পচনশীল পণ্য হওয়ায় ও সংরক্ষণের পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় ভোক্তাপর্যায়ে এক-চতুর্থাংশ পেঁয়াজ নষ্ট ও শুকিয়ে ওজন কমে যায়। ফলে সংকট দেখা যাওয়ায় অনেকটা বাধ্য হয়েই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে সরকার। এ সুযোগে বারবার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে পেঁয়াজের বাজার।
অর্থসংবাদ/এমআই