নির্বাচন বাতিলের দাবিতে সোমবার রাতে বিরোধী দলের সমর্থকরা পার্লামেন্ট ভবনের দখল নিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় কয়েকশ লোক আহত ও এক জন নিহত হয়েছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট সুরনোবায় জিনবিকভের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলো ভোট কিনেছে এবং নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে।
প্রেসিডেন্ট সুরনবায় মঙ্গলবার অভিযোগ করেছেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে ‘রাজনৈতিক শক্তি’ কাজ করছে। এরপরই নির্বাচন কমিশন রোববারের ফল বাতিলের পদক্ষেপ নেয়।
কিরগিজস্তানের আইন অনুযায়ী, পার্লামেন্টে আসন নিশ্চিত করতে হলে কোনো দলকে ন্যূনতম ৭ শতাংশ ভোট পেতে হয়। নির্বাচনে অংশ নেওয়া ১৬টি দলের মধ্যে মাত্র চারটি দল এ শর্ত পূর্ণ করেছে। আবার এই চার দলের মধ্যে তিনটিই প্রেসিডেন্ট সুরনবায়ের পক্ষের শক্তি।
মঙ্গলবার প্রায় দুই হাজার বিক্ষোভকারী ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি ভবনে ঢুকে পড়ে। তারা সেখানে রাখা দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট আলমাজবেক আতাবায়েভকে জেল ভেঙেমুক্ত করেন।
কিরগিজ প্রেসিডেন্ট সুরোনবাই জিনবেকোভ বলেছেন, দেশ একটি অভ্যুত্থান চেষ্টার মুখে পড়েছে। তবে তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি না চালানোর জন্য আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এক ভিডিও বার্তায় জিনবেকোভ বলেছেন, অজ্ঞাত একটি রাজনৈতিক শক্তি নির্বাচনী ফলকে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণ হিসাবে ব্যবহার করছে; তারা বেপরোয়া।
এ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ঠেকাতে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপই নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জিনবেকোভ। তিনি বিরোধীদলগুলোকে তাদের সমর্থকদের শান্ত করে বিক্ষোভস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বানও জানান।
জিনবেকোভ বলেন, আমি কেন্দীয় নির্বাচন কমিশনকে সহিংসতার ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা এবং প্রয়োজনে নির্বাচনের ফল বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছি।