অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।সভাশেষে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন কেবিনেট ডিভিশনের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মাৎ নাসিমা বেগম।
জিটুজি (গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট) ভিত্তিতে দেশগুলোর ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মেয়াদে পাঁচ হাজার ১৪২ কোটি ৫১ লাখ টাকা অর্থায়ন করে এই তেল আনতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) ২০২০ সালের মোট চাহিদার ৫০ শতাংশ জিটুজি ভিত্তিতে এবং ৫০ শতাংশ উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয় বৈঠকে।
বিপিসি সূত্র জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সময়ে ২০ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। তবে বৃহস্পতিবারের সভায় ১০ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।জ্বালানি তেলের প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইসসহ বাংলাদেশি মুদ্রায় পাঁচ হাজার ১৪২ কোটি ৫১ লাখ টাকার আমদানি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, জিটুজি ভিত্তিতে ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি (এনআরএল) থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করবে বাংলাদেশ- এমন প্রস্তাবেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে।
পার্বতীপুর ডিপোতে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে এ পরিমাণ জ্বালানি আমদানিতে বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করবে ৩১৪ কোটি টাকা।