থরে থরে সাজানো চালের বস্তা। রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট পাইকারি বাজারের প্রতিটি আড়তের চিত্র একই। তবে বিপুল সরবরাহের পরও ৪০ টাকা কেজির কমে মিলবে না চাল। যদিও পাইকাররা বলছেন, গেল একমাস ধরে স্থিতিশীল বাজার। দাম বাড়ার শঙ্কা না থাকলেও মিল থেকে নিয়ন্ত্রণ করায় বাজারে মৌসুমের প্রভাব কতোটা পড়বে তা নিয়ে সন্দিহান পাইকাররা।
চাল ব্যবসায়ীরা বলেন, 'ডিলাররা আগের মত সাপ্লাই দিচ্ছে না। যেমন আগে চাল অর্ডার করলে পেতাম কিন্তু এখন অর্ডার দিয়ে এমনকি নগদ টাকা দিয়েও চাল পাচ্ছি না। ডিলারদের কাছে সঠিক তথ্য পাচ্ছি না। তারা বলছে এ বছর ফলন ভালো না।'
এদিকে, সুখবর নেই আলুর বাজারেও। সরবরাহ কমের অজুহাতে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না আলু। চাহিদা কমলেও হিমাগার পর্যায়ে দামের উর্ধ্বগতিতে আপাতত বাজারে নেই দাম কমার লক্ষ্মণ।
আলু ব্যবসায়ীরা বলেন, 'আলু তো আমদানি নেই। রাজশাহী হিমাগারে আলু আছে কিন্তু তারা আলু ছাড়ছে না। যেখানে আমরা আগে সারাদিনে বিক্রি করলাম ৫০ থেকে ৬০ বস্তা সেখানে এখন বিক্রি করি ২০ বস্তা।'
কিছুটা স্বস্তি পেঁয়াজ বাজারে। পাইকারি পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজ ৬৫-৬৬ টাকা কেজি, আমদানি করা পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৩৬-৩৮ টাকা এবং বার্মার পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকায়।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলেন, 'বাইরের পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় দেশের পেঁয়াজের দামটা কমে গেছে। নতুন পেঁয়াজ আসলে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় চলে আসবে। সব দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে আর পেয়াজ বাজারে এসে পোড়েছে তাই বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম আরও কমবে।'
এদিকে, বছর শেষে নতুন করে অস্থির আদার বাজার। আমদানি কমে যাওয়ায় চীন থেকে আমদানি করা আদার দাম পৌঁছেছে আড়াই'শ টাকায়। ভারতীয় আদার কেজি ৫০-৫৫ টাকা।
অর্থসংবাদ/এসএ