এ বছরের শুরু থেকেই স্বর্ণের বাজার তুলনামূলক চাঙ্গা হতে শুরু করে। এর একমাত্র কারণ হলো চীন থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পরা প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে করোনা সংক্রমণকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করা হলে মূল্যবান ধাতুটির মূল্যবৃদ্ধি আরো জোরালো হয়। চলতি বছরজুড়ে জুয়েলারি কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক খাতে স্বর্ণের চাহিদা কম ছিল। এর পরও মূল্যবান ধাতুটির দাম বেড়েছে।
আগস্টের পর স্বর্ণের দাম রেকর্ড অবস্থান থেকে কিছুটা কমে এসেছে। গত কয়েক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের স্পটমার্কেটে প্রতি আউন্স স্বর্ণ ১ হাজার ৯০০ ডলারের আশপাশে বিক্রি হয়েছে। মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে তৈরি হওয়া অনিশ্চিত পরিস্থিতি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯০০ ডলারের আশপাশে ধরে রেখেছে।
গোল্ডম্যান স্যাকস মনে করেন এ ঝুঁকি আগামী দিনগুলোতেও বিনিয়োগকারীদের স্বর্ণের প্রতি আগ্রহ ধরে রাখবে। ফলে সহসাই স্বর্ণের দাম কমে আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ। বরং মূল্যবান ধাতুটির দাম আরো বাড়তে পারে। ২০২১ সাল নাগাদ আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের সম্ভাব্য দাম ২ হাজার ৩০০ ডলারে উঠতে পারে বলে পূর্বাভাস প্রতিষ্ঠানটির, যা বর্তমানের তুলনায় প্রায় ২২ শতাংশ বেশি। এর মধ্য দিয়ে ইতিহাসে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দামে নতুন রেকর্ড হতে পারে।
২০২১ সালে মূল্যবান ধাতুটির সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড ভাঙার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। গোল্ডম্যান স্যাকস তার প্রতিবেদনে বলেন, অর্থনৈতিক মন্দার সময় দীর্ঘমেয়াদে স্বর্ণের বাজার চাঙ্গা থাকে। এর আগে ২০০৮ সালের মন্দার সময়ও একই চিত্র দেখা গেছে। এবার করোনার কারণে ২০২০ সালের শুরু থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে স্বর্ণের দাম বেড়েছে। এখন মূল্যবৃদ্ধির হার শ্লথ হয়ে এলেও তা দীর্ঘমেয়াদে বাড়তির পথেই থাকবে।
অর্থসংবাদ/এসএ/২৪:১৩/১১:২১;২০২০