গত মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন সংলগ্ন স্বাধীনতা স্কয়ারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে শ্রমিকদের দুরবস্থার কথা তুলে ধরেন বিড়ি শ্রমিক নেতারা।
এ সময় তারা চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রতি প্যাকেট বিড়িতে ধার্য করা অতিরিক্ত ৪ টাকা মূল্যস্তর প্রত্যাহার, শ্রমিকদের সপ্তাহে ৬ দিন কাজের নিশ্চয়তা, বিড়ির ওপর অর্পিত ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, বিড়িকে কুটির শিল্প হিসেবে ঘোষণা, নকল বিড়ির ব্যবসা ও অনলাইনে বিড়ি তৈরির লাইসেন্স বন্ধসহ ছয় দফা দাবি জানান।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এমকে বাঙালি বলেন, ধূমপান হিসেবে বিড়ি ও সিগারেট দুটোই ক্ষতিকর। সরকার ধূমপান বন্ধের পরিকল্পনা হিসেবে তামাকজাত পণ্যের ওপর ট্যাক্স বৃদ্ধি করছে। কিন্তু বিড়িতে বৈষম্যমূলকভাবে ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হয়েছে। বহুজাতিক কোম্পানিকে সুযোগ সৃষ্টির জন্য এ বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। বর্তমান করোনাকালীন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের জন্য বিড়ির ওপর অর্পিত বাজেটটি মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়েছে।
এতে সিরাজগঞ্জ জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য প্রদান দেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এমকে বাঙািলি, কার্যকরি সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, আবুল হাসনাত লাভলু, শামীমুল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিক নেতারা।
অর্থসংবাদ/এ এইচ আর ১০:৪২/ ১১:২৫:২০২০