গতকাল বুধবার (২৫ নভেম্বর) রাতে বাসভবন থেকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ভাচুর্য়াল কনফারেন্সে অর্গানাইজেশনস অব ইসলামিক স্টেটস এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয় সংক্রান্ত জোট কমসেক স্ট্যান্ডিং কমিটির ৩৬তম অধিবেশনে বক্তব্য প্রদানের সময় এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর মধ্যে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ উপযুক্ত স্থান। বাংলাদেশে বর্তমানে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এখানে ওআইসিভুক্ত দেশসমূহের বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইচ্ছায় ১৯৭৪ সালের বাংলাদেশ ওআইসি’র সদস্য পদ লাভের মাধ্যমে ওআইসি তথা কমসেকের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। তিনি কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে গতিশীলতা বজায় রাখার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করেন।
তাছাড়া, তথ্য প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি উল্লেখ করে বাংলাদেশ হতে আইটি প্রোফেশনালদের পেশাগত সেবা গ্রহণের জন্য তিনি কমসেক ভুক্ত দেশসমূহের প্রতি আহবান জানান। তাছাড়া বাংলাদেশের বাণিজ্য সক্ষমতা তুলে ধরেন। এছাড়া মন্ত্রী পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য হালাল ট্রেড সার্টিফিকেশন, ট্রেড ফ্যাসিলিটিশন এবং ট্রানজিট অব কাঠামো উন্নয়নের জন্য সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
কমসেক ভুক্ত ৫৭ টি দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
তিনি ওআইসিভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে অধিকতর ভ্রাতৃত্ব বোধ সৃষ্টিসহ অর্থনৈতিক এবং বাণ্যিজ্যিক ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে আরব গ্রুপ হতে বক্তব্য প্রদান করেন কুয়েতের মন্ত্রী আলসেতান , আফ্রিকা গ্রুপ হতে বক্তব্য প্রদান করেন নাইজেরয়িার পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুবায়ের দাদা। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য প্রদান করেন ওআইসির সেক্রেটারি জেনারেল ড. ইউসুফ এ. আল-ওতাহাইমিন , ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকের সভাপতি ড. বন্দর এম এইচ হাজ্জার , তুরস্কের ইউনিয়ন চেম্বার ও কমোডিটি এক্সচেঞ্জ এর সভাপতি এবং ইসলামিক চেম্বার অব কমার্স, ইন্ড্রাটিজ এন্ড এগ্রিকালচার এর সহ-সভাপতি এম রিফাত হিসার সিকলুগ্লু । বক্তাগণ ওআইসি ভুক্ত দেশসমূহকে পর্যটন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি সহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান।