নভেল করোনাভাইরাসের মহামারী ও এর জের ধরে টানা লকডাউনে টালমাটাল অবস্থায় পড়েছে ভারতের অর্থনীতি। বাদ যায়নি দেশটির ইস্পাত শিল্পও। মহামারীর কারণে চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে (জানুয়ারি-অক্টোবর) দেশটিতে শিল্প ধাতুটির সম্মিলিত উৎপাদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ কমে আট কোটি টনের নিচে নেমে এসেছে। একই কারণে ২০২০ সালে দেশটিতে ইস্পাতের অভ্যন্তরীণ চাহিদাও আগের বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ কমে আসার আশঙ্কা করা হচ্ছে। উৎপাদন ও চাহিদায় এ মন্দা ভাবের ধারাবাহিকতায় আগামী দিনগুলোয় গভীর সংকটে পড়তে পারে ভারতের ইস্পাত শিল্প। খবর বিজনেস লাইন ও মানি কন্ট্রোল।
ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদনকারী দেশ। ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশনের (ডব্লিউএসএ) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে ভারতের কারখানাগুলোয় সব মিলিয়ে ৭ কোটি ৯৬ লাখ ৮০ হাজার টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ কম। ২০১৯ সালের জানুয়ারি-অক্টোবর সময়ে দেশটিতে মোট ৯ কোটি ৩০ লাখ ৩০ হাজার টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছিল। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ভারতে শিল্প ধাতুটির উৎপাদন কমেছে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টন।
শুধু উৎপাদন কমে আসা নয়, বরং চলতি বছর চাহিদার মন্দা ভাবের মধ্য দিয়ে সংকটকালীন সময় পার করছে ভারতের ইস্পাত শিল্প। ব্রিকওয়ার্ক রেটিংয়ের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে ভারতে ইস্পাতের বার্ষিক চাহিদা আগের বছরের তুলনায় ১০-১২ শতাংশ কমে আসার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। এর পেছনে কভিড-১৯ মহামারীকে দায়ী করছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের অবকাঠামো নির্মাণ খাতে সবচেয়ে বেশি ইস্পাত ব্যবহার হয়। মহামারীর কারণে বছরের শুরুর দিকে টানা লকডাউন দেশটির অবকাঠামো নির্মাণ খাতকে কার্যত স্থবির করে রেখেছিল। এর জের ধরে কমে এসেছে ইস্পাতের চাহিদাও, যা ভারতের সামগ্রিক ইস্পাত শিল্পকে সংকটে ফেলেছে।
অর্থসংবাদ/এসএ/২২:৫০/১১:৩০:২০২০