গতকাল (২৯ নভেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘শিল্পনীতির সীমাবদ্ধতা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান এবং পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদ। সম্মানিত অতিথি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মাসুদুর রহমান।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, সিএমএসএমইতে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, বৃহত্তর শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজকে বলিষ্ঠকরণ, কর্মসংস্থান সহায়ক প্রবৃদ্ধি এবং গ্রামীণ ও শহুরে বসবাসকারীদের মাঝে বৈষম্য হ্রাস করার লক্ষ্যে আসন্ন শিল্পনীতি প্রণয়ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের আলোচনার ভিত্তিত্তে যে শিল্পনীতি প্রণয়ন করা হবে। তা ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন এবং ব্যবসা পরিচালনার সূচকসহ অন্যান্য সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আরো উন্নত করবে, যা দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, প্রয়োজনীয় গবেষণা ও বিনিয়োগের অভাবে দেশের উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে বেশ সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তিনি শিল্পনীতিতে দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে আরো বেশি প্রাধান্য দেয়ার পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের লক্ষ্যে শুল্ক ও নীতি সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব করেন।
এসএমইদের সংজ্ঞায়নে বেশ সমস্যা রয়েছে, যা নিরসন করা একান্ত আবশ্যক বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। এজন্য তিনি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোয় ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা অঞ্চল স্থাপন করার প্রস্তাব করেন। এছাড়া প্রণোদনার টাকা ফেরত দেয়ার সময়সীমা অন্তত দুই বছর বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ড. আতিউর রহমান। বিশেষ করে এসএমইদের জন্য প্রণোদনার প্যাকেজে বরাদ্দের পরিমাণ আরো বাড়ানোর প্রস্তাব করেন তিনি।
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের অধ্যাপক ড. মো. আবু ইউসুফ এবং বক্তব্য দেন বিসিকের চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান এনডিসি।
বিল্ডের চেয়ারপারসন ও ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম খান মনে করেন, শিল্পনীতিতে সব খাতকে সুনির্দিষ্টভাবে গুরুত্ব প্রদান ও সংজ্ঞায়ন করা প্রয়োজন। পাশাপাশি শিল্পনীতি প্রণয়নে একটি সুনির্দিষ্ট ডাটা বেজ প্রণয়ন করার মত প্রকাশ করেন তিনি।
অর্থসংবাদ/এসএ/১৫:২৪/১১:৩০:২০২০