শনিবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের পিটিএ স্বাক্ষর উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের প্রথম দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি। চুক্তিটি স্বাক্ষরের পর বাংলাদেশ ভুটানের বাজারে মোট ১০০টি পণ্যে এবং ভুটান বাংলাদেশের বাজারে মোট ৩৪টি পণ্যে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাবে। পরে আলোচনার মাধ্যমে আরও পণ্য দুই দেশের তালিকায় সংযুক্ত করা হবে। এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক পিটিএ বা এফটিএ স্বাক্ষরের যাত্রা শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, ভুটান বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর সর্বপ্রথম স্বীকৃতি দেয়। এরপর থেকে সুদীর্ঘ ৫০ বছর ধরে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ভুটানের সঙ্গে পিটিএ স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী রোববার (৬ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং ভার্চুয়াল সংযোগের মাধ্যমে এতে অংশগ্রহণ করবেন। পিটিএতে বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ভুটানের পক্ষে ভুটানের ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার স্বাক্ষর করবেন।