শনিবার দুপুরে বিসিক কর্তৃক চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের দ্য ভিলেজ হোটেলে পর্যালোচনা সভায় লবণ মিল মালিকদের সঙ্গে অর্ধবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় তিনি একথা জানান।
বিসিক চেয়ারম্যান বলেন, লবণ মিল মালিকরা যদি তাদের প্লটের চাহিদা নিরূপণ করে বিসিক কর্তৃপক্ষকে সরবরাহ করেন, তবে বিসিক কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্যতা যাচাই করে লবণ মিল মালিকদের জন্য চট্টগ্রামে আলাদা একটি লবণ শিল্পনগরী গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
বিসিক চেয়ারম্যান আরও বলেন, সরকারের ৩০ হাজার একর খাসজমি অধিগ্রহণ করে লবণচাষীদের মধ্যে স্বল্প মূল্যে বরাদ্দের ব্যবস্থা করা গেলে লবণের উৎপাদন খরচ কমে আসবে এবং দেশের দরিদ্র লবণচাষীরা তাদের উৎপাদিত লবণের ন্যায্যমূল্য পাবে। এ বিষয়ে বিসিকের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মো. মোশতাক হাসান, এনডিসি আরো বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতি ও লবণ মিল মালিকদের ক্ষতির কথা বিবেচনা করে আগামী জানুয়ারি থেকে লবণ মিল মালিকদের কাছ থেকে পটাশিয়াম আয়োডেটের মূল্য প্রতি কেজিতে ৫০০ টাকা করে কম রাখা হবে। পটাশিয়াম আয়োডেট প্রতি কেজি ৩ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হয়।
এ পর্যালোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুহাম্মদ আতাউর রহমান ছিদ্দিকী, পরিচালক (প্রকৌশল ও প্রকল্প বাস্তবায়ন); অখিল রঞ্জন তরফদার, মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) ও প্রকল্প পরিচালক (সিআইডিডি); বাবুল চন্দ্র নাথ, আঞ্চলিক পরিচালক, আঞ্চলিক কার্যালয়, চট্টগ্রাম; সরোয়ার হোসেন, উপপ্রকল্প পরিচালক, সিআইডিডি; নুরুল কবির, সভাপতি, লবণ মিল মালিক সমিতি; মো. গুলজার আহম্মেদ, ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার, এনআই।
উল্লেখ্য, বিসিক আয়োডিনযুক্ত লবণ তৈরি কার্যক্রমের মাধ্যমে আয়োডিনের ঘাটতি পূরণ (সিআইডিডি) প্রকল্পের মাধ্যমে একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে পটাশিয়াম আয়োডেট আমদানি করে লবণ মিলগুলোয় সরবরাহ করে। লবণ মিলগুলো সরবরাহকৃত পটাশিয়াম আয়োডেট মেশিনের মাধ্যমে পরিশোধিত লবণের সঙ্গে মিশিয়ে আয়োডিনযুক্ত লবণ বাজারজাত করে।
অর্থসংবাদ/এসএ