সৌদি আরামকো জানান, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে এশিয়ার দেশগুলো সৌদি আরবের কাছ থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কিনতে গেলে আরব লাইট ক্রুডের ক্ষেত্রে চলতি ডিসেম্বরের তুলনায় ব্যারেলপ্রতি বাড়তি ৮০ সেন্ট গুনতে হবে। এর মধ্য দিয়ে আরব লাইট ক্রুডের দাম ওমান/দুবাই গ্রেডের তুলনায় ব্যারেলপ্রতি ৩০ সেন্ট বাড়তি থাকবে।
কিন্তু চীন, জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়াসহ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য বাড়ালেও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমিয়েছে সৌদি আরামকো। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, জানুয়ারিতে আরব লাইট ক্রুডের ক্ষেত্রে মার্কিন ক্রেতাদের ডিসেম্বরের তুলনায় ব্যারেলপ্রতি ৩০ সেন্ট কম পরিশোধ করতে হবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরবের জ্বালানি বাণিজ্য চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ইআইএ) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্টে সৌদি আরব থেকে যুক্তরাষ্ট্র্রে প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ৭৭ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি হয়েছিল। অক্টোবরে তা দৈনিক গড়ে এক লাখ ব্যারেলের নিচে নেমে এসেছে। ৩৫ বছরের মধ্যে কোনো মাসে সৌদি আরব থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন এক লাখ ব্যারেলের কম অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি হয়নি।
কোভিড-১৯ এর সময় এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে জ্বালানি তেল ব্যবসা জোরদার করেছে সৌদি আরব। চীন, ভারতসহ বেশির ভাগ দেশে সৌদি আরব থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি বেড়েছে। দাম তুলনামূলক কম থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে এশিয়ার দেশগুলোও বাড়তি জ্বালানি তেল আমদানি করেছে।