ফিনল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব

ফিনল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব
বাংলাদেশে ইউরোপের দেশ ফিনল্যান্ডের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য আরও বাড়ানো যায় কি না তা নিয়ে আলোচনা করেছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। ফিনিশ কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও তাদের কারখানা গড়ে তুলে স্থানীয় বাজারে সরবরাহের পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও তাদের পণ্য রফতানি করতে পারে।

গতকাল (৯ডিসেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলের এফবিসিসিআইয়ের আইকন টাওয়ারে ‘ফিনল্যান্ড বাংলাদেশ বিজনেস ইভেন্ট অন বাইল্যাটেরাল ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ ইন দ্য অনগোয়িং গ্লোবাল প্যানডেমিক অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে আলোচকরা এমন মতামত ব্যক্ত করেন। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) ও ফিনিশ চেম্বারস অব কমার্স (ফিনচ্যাম) যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয়।

আয়োজনের প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফিনল্যান্ডের ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন অ্যান্ড ফরেন ট্রেড বিষয়ক মন্ত্রী ভিলে স্কিনারি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম। এফবিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ মাহফুজুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ফিনচ্যামের প্রেসিডেন্ট ও সিইও জুহো রমাকাম্মেয়ি, সিনিয়র অ্যাডভাইজার জেনি আইসোলা, এফবিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা সোনিয়া বশির কবির, অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার, মেকালিফটের সিইও জেনি কালিওমাকি এবং ওয়ার্টসিলার প্রেসিডেন্ট ও সিইও জাকো এস্কোলা। সমাপনী বক্তব্য রাখেন ফিনচ্যামের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট টিমো ভিওরি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব ইউরোপীয় দেশ বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল, তার মধ্যে ফিনল্যান্ড অন্যতম। বাংলাদেশ ও ফিনল্যান্ডের বাণিজ্য সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বেড়েছে। বাংলাদেশী রফতানিকারকরা ফিনল্যান্ডে আরো পণ্য রফতানির সুযোগ নিতে আগ্রহী।

বাংলাদেশ ও ফিনল্যান্ডের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাইল্যাটারাল ভ্যালু চেইন ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে ফিনল্যান্ডের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষতা উন্নয়ন, এডিআর, ফলিত গবেষণাসহ বিভিন্ন খাত এবং বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখার মাধ্যমে আমরা বাণিজ্য পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নিতে পারি। আমরা এফবিসিসিআইয়ের এডিআরের বিচারক প্যানেলে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করতে ফিনল্যান্ডের সহযোগিতা চাই। ওয়ার্টসিলার মতো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তাদের ধীরে ধীরে কারখানা স্থাপন করে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি ও সংযোজনের সুযোগ নিতে পারে, যা তারা এখান থেকে স্থানীয় বাজারে সরবরাহের পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও তাদের পণ্য রফতানি করতে পারবে।

প্রশ্নোত্তর পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফিনল্যান্ড থেকে যেসব পণ্য বাংলাদেশে আসে, তারা সেগুলো ধীরে ধীরে বাংলাদেশে তৈরি করা শুরু করতে পারে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার হয়, সেগুলো বাংলাদেশে তৈরি করে এখানেই ব্যবহার করতে পারে। পাশাপাশি আশপাশের বাজারে রফতানি করতে পারে। শুরুতে বড় আকারে না হলেও ছোট আকারে তারা এ ধরনের উদ্যোগ নিতে পারে। একইভাবে বাংলাদেশের কৃষি খাত, ফিনটেক, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নেও ফিনল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসতে পারেন।

এফবিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা সোনিয়া বশির কবির বলেন, কভিড-১৯-এর একটি ভালো দিক হলো ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন। আশা করি, আমরা এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারব।

ফিনল্যান্ডের ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন অ্যান্ড ফরেন ট্রেড বিষয়ক মন্ত্রী ভিল স্কিনারি বলেন, করোনার আগে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ধীর হলেও বাড়ছিল। আমরা আশা করি, দ্রুত আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারব। তিনি বলেন, ফিনল্যান্ডে বাংলাদেশের পণ্য রফতানির ভালো সুযোগ রয়েছে। আমরা সম্মিলিতভাবে আরো ভালো কিছু করতে পারি। ফিনচ্যামের প্রেসিডেন্ট ও সিইও জুহো রমাকাম্মেয়ি বলেন, ফিনিশ কোম্পানিগুলোও এমন একসময়ে বাংলাদেশে নতুন নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগের খোঁজ চালাচ্ছে, যখন দেশটি নিজেই নিজের অর্থনীতিকে আরো আধুনিক করতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে।

 

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পোশাকখাতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে, কমে গেছে চাহিদা
২০২৩ সালে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশ
২০২৩ সালে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ১০ শতাংশ
ইভ্যালিতে বড় অফার আজ, ১০ টাকায় মিলবে পাঞ্জাবি
হিলিতে আদা-সবজিতে স্বস্তি, বাড়তি দামে রসুন
বাংলাদেশে বিনিয়োগের ঐক্যমতে শেষ হলো গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্স
১১ মাসে ৪৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি
২০২৪ সালে ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর
আইসিএবির নতুন সভাপতি ফোরকান উদ্দীণ
বিসিক শিল্পনগরীতে এক হাজার ৯৮ প্লট খালি