বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (১০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজমন্ত্রীর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজেন্ডার বার্গ ভন লিনডি এর সাথে মতবিনিময়ের সময় এ সব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সুইডেন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাবসায়িক অংশিদার। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে (বি টু বি) সফর বিনিময় এবং আলোচনার মাধ্যমে এ সুযোগকে কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করছে। সুইডেনে বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের পাশাপাশি ঔষধ, পাট ও পাটপণ্য, চিড়িংড়ি ও হিমায়িত মাছ, সিরামিক পণ্য, আইসিটি পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, হস্তশিল্প পণ্য এবং প্লাষ্টিক পণ্য আমদানি করতে পারে। বাণিজ্য ক্ষেত্রে যে কোন জটিলতা নিরসনে উভয় দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা হতে পারে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকনোমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে চীন, কোরিয়া, জাপান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। এ অঞ্চল পণ্যের একটি বড় বাজার। সুইডেনের বিনিয়োগকারীগণ ইকনোমিক জোনে তৈরী পোশাক, টেক্সটাইল, এগ্রো প্রসেসিং, চামড়াজাত পণ্য, ফার্মাসিটিকেল, সিরামিক, এনার্জি এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন।
সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজেন্ডার বার্গ ভন লিনডি বলেন, বাণিজ্য ক্ষেত্রে সুইডেন বাংলাদেশকে অধিক গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিযোগ বাড়ানে আগ্রহী সুইডেন। উভয় দেশেল মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা করা প্রয়োজন। এজন্য সুইডেনের ন্যাশনাল বোর্ড অফ ট্রেড আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছে।
উল্লেখ্য, গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে বাংলাদেশ সুইডেনে রপ্তানি করেছে ৬৯৬.০৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুল্যের পণ্য, একই সময়ে আমদানি করেছে ৭২.৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুল্যের পণ্য। উভয় দেশের বাণিজ্যের পরিমান ছিল ৭৬৮.৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কোভিড-১৯ এর কারনে গতঅর্থ বছরে বাণিজ্যের পরিমান কম ছিল।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শরিফা খান, অতিরিক্ত সচিব(রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব(রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম উপস্থিত ছিলেন।