বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক ও রফতানিকারক দেশ মালয়েশিয়া। এমপিওবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের নভেম্বর শেষে দেশটিতে পাম অয়েলের সমাপনী মজুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬০ হাজার টনে। আগের মাসের তুলনায় নভেম্বরে মালয়েশীয় পাম অয়েলের মজুদ কমেছে দশমিক ৫৮ শতাংশ। ২০১৭ সালের জুনের পর এটাই মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের সর্বনিম্ন মজুদের রেকর্ড।
রফতানি কমতির দিকে থাকলে পণ্যের মজুদ বেড়ে যায়। তবে মালয়েশীয় পাম অয়েলের ক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। এর পেছনে উৎপাদন খাতে বিদ্যমান মন্দা ভাবকে চিহ্নিত করেন খাতসংশ্লিষ্টরা। এমপিওবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের নভেম্বরে মালয়েশিয়ায় সব মিলিয়ে ১৪ লাখ ৯০ হাজার টন অপরিশোধিত পাম অয়েল উৎপাদন হয়েছে। অক্টোবরের তুলনায় গত মাসে দেশটিতে পণ্যটির উৎপাদন কমেছে ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। গত মার্চের পর নভেম্বরে মালয়েশিয়ায় সবচেয়ে কম অপরিশোধিত পাম অয়েল উৎপাদন হয়েছে।
চলতি বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে মালয়েশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে পাম অয়েল রফতানিতে প্রবৃদ্ধি বজায় ছিল। শীত মৌসুম শুরুর আগে আগে প্রতি বছরই পণ্যটির রফতানি চিত্র ঊর্ধ্বমুখী থাকে। তবে নভেম্বরে মালয়েশীয় পাম অয়েল রফতানি কমে এসেছে। এমপিওবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত নভেম্বর শেষে মালয়েশিয়া থেকে সব মিলিয়ে ১৩ লাখ টন পাম অয়েল রফতানি হয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানি কমেছে ২২ দশমিক ১৬ শতাংশ। গত সাত মাসের মধ্যে এটাই মালয়েশিয়া থেকে সবচেয়ে কম পাম অয়েল রফতানির পরিমাণ।