সমীক্ষায় সাধারণ প্রবণতা হিসেবে দেখা গেছে, চলতি বছরের মে মাসে শ্রমিকদের বেতন প্রদানের ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটেছে এবং পরবর্তী মাসগুলোয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতন প্রদানের প্রবণতা ধীরে ধীরে কমে এসেছে। চলতি বছরের মে মাসের আগে কিছু কারখানা বেতন প্রদানের ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজড হয়েছিল, কিছু কারখানা সাময়িক সময়ের জন্য ডিজিটালাইজড হয়েছিল। আর কিছু কারখানা কখনই ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে বেতন প্রদান করেনি।
সমীক্ষায় আরো দেখা যায়, এ বছরের মে মাসের আগে ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে বেতন প্রদানের ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডকেন্দ্রিক কারখানাগুলো এগিয়ে ছিল। একই সঙ্গে মে মাসের পর থেকে ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে বেতন প্রদানের হার বৃদ্ধির প্রবণতাও ব্র্যান্ডকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে তুলনামূলক অনেক বেশি ছিল।
সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিলে ব্র্যান্ডকেন্দ্রিক ৩৭ শতাংশ কারখানা ডিজিটাল পদ্ধতিতে শ্রমিকদের বেতন প্রদান করত। যেখানে ব্র্যান্ডকেন্দ্রিক নয় এমন ২০ শতাংশ কারখানা শ্রমিকদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতন প্রদান করত। মে মাসে গার্মেন্টস খাত সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ পাওয়ার পর শ্রমিকদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতন প্রদানের প্রবণতা বেড়ে ব্র্যান্ডকেন্দ্রিক কারখানার জন্য হয় ৮৫ শতাংশ এবং ব্র্যান্ডকেন্দ্রিক নয় এমন প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫৭ শতাংশে দাঁড়ায়।
ব্র্যান্ডকেন্দ্রিক কারখানাগুলোর ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে বেতন প্রদানের হার জুনে ছিল ৮৫ শতাংশ, জুলাইয়ে ৮৭, আগস্টে ৭৬ ও সেপ্টেম্বরে ৭৩ শতাংশ। অন্যদিকে ব্র্যান্ডকেন্দ্রিক নয় এমন কারখানার ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে বেতন প্রদানের হার জুনে ৬০ শতাংশ, জুলাইয়ে ৫৪, আগস্টে ৪৫ ও সেপ্টেম্বরে ৪০ শতাংশ ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতন প্রদানের অনেক সুবিধা যেমন নগদ অর্থে বেতন প্রদানসংক্রান্ত খরচের উল্লেখযোগ্য হ্রাস, নগদ অর্থে বেতন প্রদানের ক্ষেত্রে যে নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকত তা দূর হওয়া, নগদ অর্থে বেতন সংগ্রহের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের যে উৎপাদনের সময় অপচয় হতো তা দূর হওয়া সত্ত্বেও কারখানাগুলো আবার নগদ অর্থে বেতন প্রদানের দিকে ফিরে যাচ্ছে।
চলতি বছর এপ্রিল থেকে ১ হাজার ৩৭৭ জন শ্রমিকদের ওপর ধারাবাহিকভাবে জরিপ চালিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠান দুটি। প্রতি সপ্তাহে একই অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এ জরিপ চালানো হয়।