আজ রোববার (৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিলে সংকটে পড়ে বাংলাদেশ। তখন অন্য দেশ থেকে আমদানি সহজ করতে পেঁয়াজের ওপর ধার্য্য ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করে সরকার। তবে সেটি আবারও আরোপ করা হবে। এ বিষয়ে আজ বিকেলে কৃষি মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেখানে শুল্ক আরোপের পরামর্শ দেয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা তিন বছরের মধ্যে পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই। এজন্য উৎপাদকদের লোকসানে ফেলা যাবে না। তাদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। ভারত তার স্বার্থের কথা ভেবে কখনও কখনও পেঁয়াজ ছাড় করে, আবারও হুট করে বন্ধও করে দেয়। এখন আবার তারা রফতানি শুরু করেছে। আমরা দেশের কৃষকদের স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনা করব। ভোক্তারা যাতে কোনো সংকটে না পড়ে সেটাও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
টিপু মুনশী বলেন, ভারতের পেঁয়াজ বাজারে এলেও দামে কোনো প্রভাব পড়বে না। ভারতের পেয়াঁজ যদি ৩৯ টাকা করে বাজারে আসে, তাহলে ঢাকার বাজারে পাইকারি দাম পড়বে ৪৫ টাকার মতো। আর খুচরা বাজারে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। তবে দেশি পেঁয়াজের দামও একই রকম। এজন্য ভোক্তারা দেশি পেঁয়াজে ঝুঁকছে। ফলে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়বে না।
টিপু মুনশী পেঁয়াজের ক্রাইসিস নিয়ে চিন্তার কিছু নেই উল্লেখ করে বলেন, মার্চের শেষ দিকে দেশে নতুন পেঁয়াজ উঠবে। সেসময় আমরা আবার বিবেচনা করে দেখব, আমদানির প্রয়োজন পড়বে কিনা।