এর আগে বিদায়ী ২০২০ সালের নভেম্বরে একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়কর বিবরণীতে ঘোষিত বিগত বছরের বিক্রির ১ শতাংশ পরিমাণ অর্থ বিদেশি মুদ্রায় পাঠানোর আওতা বাড়ানো হয়। এতে শুধু প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ ফির মধ্যে সীমিত না রেখে অন্যান্য যৌক্তিক ব্যয় বাবদ অর্থ বিদেশে পাঠানোর অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই নির্দেশনায় অডিট ফি, সার্টিফিকেশন ফি, কমিশনিং ফি, টেস্টিং ফি, মূল্যায়ন ফি বিদেশে পাঠানো যাবে বলে জানানো হয়।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে কর্মরত যেসব প্রতিষ্ঠান স্থানীয় মুদ্রায় স্থানীয় বাজারে পণ্য বিক্রি করে, তারা বিক্রির ১ শতাংশ অর্থ বিদেশে পাঠাতে পারবে বলে ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। তবে যেসব ব্যয় বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়, তা ওই প্রজ্ঞাপনের আওতায় থাকবে না।
এ ছাড়া রয়্যালটি, কারিগরি জ্ঞান বা সহায়তা ফি ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) অনুমোদনের প্রয়োজন হবে বলে জানানো হয় ওই নির্দেশনায়।
গতকাল জারি করা প্রজ্ঞাপনে বিগত বছরের বিক্রির ১ শতাংশ অর্থের সঙ্গে ১ লাখ ডলারের সীমা রাখা হয়েছে। এ দুটির মধ্যে যেটি বেশি হবে, তা চলতি ব্যয় নির্বাহের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিদেশে পাঠাতে পারবে। এর ফলে বিক্রি পর্যাপ্ত না হলেও যৌক্তিক প্রয়োজনে হঠাৎ বেশি করে অর্থ বিদেশে পাঠানোর দরকার হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই বিদেশে সময়মতো অর্থ পাঠানো যাবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে যারা আমদানিনির্ভর ব্যবসা করে ও কাঁচামালের বড় অংশ আমদানি করে, এর ফলে তারা উপকৃত হবে। এতে প্রতিবার টাকা পাঠানোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যেতে হবে না।