সরকার এর আগে তিনদিনে ২৯টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ৩০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এ নিয়ে গত পাঁচদিনে মোট ৬ লাখ ৭৬ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হলো।
চালের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। এবার আমন মৌসুমে মোটা চালের দাম ৫০ টাকা ছুঁয়েছে। এ পরিস্থিতিতে গত ২৭ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে চাল আমদানির শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার ঘোষণা দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। শুল্ক কমিয়ে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় চাল আমদানির কথাও জানিয়েছিলেন খাদ্যমন্ত্রী।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার চালের দাম নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানিতে আরো ১০ শতাংশ শুল্ক কমানোর পাশাপশি যাবতীয় রেগুলেটরি ডিউটি থেকে অব্যাহতি প্রদান করে সরকার। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চাল আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ হতে ১০ শতাংশ এবং শর্ত সাপেক্ষে সমুদয় রেগুলেটরি ডিউটি হতে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
এ প্রজ্ঞাপনের আওতায় রেয়াতি হারে চাল আমদানির শর্ত হচ্ছে, এজন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক এ উদ্দেশ্যে মনোনীত অন্যূন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা হতে লিখিত অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হয়ে ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
যেসব প্রতিষ্ঠান ৫ হাজার ১ টন থেকে ২০ হাজার টন বরাদ্দ পেয়েছে, তাদের এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ৩০ দিনের মধ্যে বাকি ৫০ শতাংশ চাল এনে বাজারজাত করতে হবে বলে শর্ত দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, ৬ জানুয়ারি বগুড়ার ফাহিম ফ্লাওয়ার মিল ২০ হাজার টন, রাজশাহীর বিসমিল্লাহ ডাল মিল, একই জেলার বিসমিল্লাহ ফ্লাওয়ার মিল, নওগাঁর নাহিদ হাসান সিরাজী, খুলনার মাহবুব ব্রাদার্সকে ১০ হাজার করে ৪০ হাজার টনসহ মোট ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়। এর আগে গত ৩, ৪ ও ৫ জানুয়ারি মোট ২৯টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ৩০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়।
নতুন করে অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নওগাঁর মেসার্স সোনালি ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টন, যশোরের মেসার্স মাহবুবুল আলম ফুড প্রডাক্টকে ১০ হাজার, ঢাকার উত্তরা ট্রেডার্সকে পাঁচ হাজার, দিনাজপুরের মেসার্স আরকে ট্রেডিংকে পাঁচ হাজার, যশোরের ইসমাইল হোসেন মিলনকে ৫০ হাজার, মেসার্স ইসলামপুর রাইস মিলকে পাঁচ হাজার টন, মেসার্স পিন্টু দত্তকে পাঁচ হাজার, নওগাঁর মেসার্স শাহী ট্রেডার্সকে দুই হাজার, রংপুরের মেসার্স সিটি ফ্লাওয়ার মিলকে আড়াই হাজার, সাতক্ষীরার মেসার্স মা-মনি ট্রেডার্সকে দুই হাজার টনসহ মোট ৬৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।