আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স (অ্যামচেম) এবং মার্কিন দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জোয়ানে ওয়েগনার, অ্যামচেমের সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ( বিডা) নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ৫২তম বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বাণিজ্য ঘাটতি ধীরে ধীরে কমে আসছে। শিল্পনীতি ২০১৬-এ দেশের সর্বত্র বিশেষত রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বিশেষ ইনসেন্টিভ ও সুবিধা রয়েছে। নীতিতে জ্বালানি, অবকাঠামো, যোগাযোগ, কৃষি ব্যবসা, আইসিটি, শিক্ষা, পর্যটন, রিয়েল এস্টেটসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রচুর সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপশি দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে বাণিজ্য ব্যবস্থার উদারীকরণ করা হয়েছে এবং নন-শুল্ক বিধিনিষেধকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা হয়েছে।
১শ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ বিষয়ে তিনি বলেন, বৈচিত্র্যময় শিল্পখাতে বিদ্যমান বিশাল সম্ভাবনার সন্ধানের জন্য সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। সে সঙ্গে রাসায়নিক, প্লাস্টিক, চামড়া, সিরামিক, অটোমোবাইল, খাদ্য এবং অন্যান্য অনেক শিল্প স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।
ইউএস ট্রেড শো দু’দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং সুযোগগুলোকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
অনুষ্ঠানে ট্রেড শো আয়োজকরা জানান, ট্রেড শোর ২৭তম এই আসরে ৪৬টি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে। শোর দ্বিতীয় দিনে ‘যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা’ ও ’যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্য’ এবং তৃতীয় দিনে ইউএসএইডের কর্মকাণ্ড ও ‘যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ভিশন’ নিয়ে সেমিনার হবে। তিন দিনব্যাপী এ ইউএস ট্রেড শো চলবে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা চলবে এই শো; প্রবেশ ফি ৩০ টাকা। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবেশ মূল্য ফ্রি করা হয়েছে।