বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরীর সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সানসেট বে লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমেদ পাটোয়ারি উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি বলেন, জমি তৈরি হলেই তারা কাজ শুরু করবেন।
জানা গেছে, পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনটি ট্যুরিজম পার্কের উন্নয়নকাজ করছে বেজা। এসব পার্কে বিনিয়োগের জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশী ও বিদেশী স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করছে। এর একটি হলো সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক। এটি টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নে অবস্থিত, যার আয়তন ১ হাজার ৪৭ একর। পার্কটি ঢাকা থেকে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার এবং কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ৮২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মেরিন ড্রাইভের মাধ্যমে ট্যুরিজম পার্কের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। তাছাড়া নিকটস্থ জাতীয় মহাসড়ক এন-১-এর মাধ্যমে ট্যুরিজম পার্কের সঙ্গে দেশের অন্যান্য এলাকার সড়ক যোগাযোগ বিদ্যমান। বর্তমানে সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে প্রশাসনিক ভবনসহ ভূমি উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা বাঁধ, ব্রিজ ও কালভার্টসহ বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বেজা সূত্রে জানা গেছে, পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্তকরণে এক পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সভায় পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা ও সমস্যা চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য, দেশীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে পর্যটকবান্ধব মহাপরিকল্পনা প্রস্তুতকরণ এবং কক্সবাজার ও এ অঞ্চলের পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে একটি সামগ্রিক যোগসূত্র স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ট্যুরিজম পার্কটি প্রতিদিন ৩৯ হাজার পর্যটক উপভোগ করতে পারবে এবং প্রায় ছয় হাজার মানুষের সরাসরি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।