এতে সামরিক বাহিনীর হাতে আটক বেসামরিক রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মুক্তি দাবি করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি এমন খবর দিয়েছে।
সুইস কূটনীতিক ক্রিস্টিন শ্রানের বার্গেনারের কথা উল্লেখ করে গুতেরেস বলেন, আমাদের বিশেষ দূত প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। দেশটির সামরিক বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডারকে এ অভ্যুত্থান নিয়ে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন।
এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন মিয়ানমারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রানের।
জাতিসংঘপ্রধান বলেন, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা উল্টে দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ করতে আমরা নিজেদের সামর্থের মধ্যে সবটুকু করব।
সোমবার ভোরে মিয়ানমারের কার্যত নেতা স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ দেশের অধিকাংশ আইনপ্রণেতাকে আটক করে সেনাবাহিনী।
গণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে সাংবিধানিকভাবে প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর ১০ বছরের সুসম্পর্কের পর ফের স্বৈরতন্ত্রের কবলে পড়েছে আসিয়ানের এই সদস্য দেশটি।
সেনা অভ্যুত্থানকে সম্পূর্ণ অগ্রণযোগ্য বলে আখ্যায়িত করেন জাতিসংঘের প্রধান। কিন্তু অভ্যুত্থান ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সুর এখন পর্যন্ত নরমই দেখা গেছে।
সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল নিয়ে গভীর উদ্বেগ ব্যক্ত করা ছাড়া আরও কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি জাতিসংঘ।
কূটনীতিকরা বলেন, সাধারণ পরিষদের ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন চীন ও রাশিয়া মিয়ানমারকে সমর্থন দিচ্ছে।