শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত দেশগুলোর অর্থমন্ত্রী পর্যায়ের এক সম্মেলনে অর্থনৈতিক সহায়তার এ গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণের পর এই প্রথম জি৭-এর উচ্চপর্যায়ের এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জি৭-ভুক্ত দেশগুলোর অর্থমন্ত্রী ছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নররা অংশ নেন। ব্রিটেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় অংশ নেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিরাও।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স ও ব্রিটেন নিয়ে গঠিত সংগঠনটি থেকে এমন সহায়তার বিষয়টি করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এমন একটি সময়ে এ সহায়তার বিষয়ে একমত হয়েছে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার পূর্বসূরির মতবাদ থেকে বেরিয়ে এসে বহুত্ববাদকে গুরুত্ব দিচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকা ফার্স্ট নীতি থেকে বেরিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধির কথাও জানিয়েছে।
ব্রিটেনের অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা কীভাবে করোনা বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে ভালোভাবে মোকাবেলা করা যায়, সে বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। এর মধ্যে শ্রমশক্তি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে সহায়তাসহ দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন টেকসই পদক্ষেপ নেয়ার বিষয় নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
অর্থনৈতিক সহায়তার গুরুত্বারোপ করে টুইট করেছেন ইতালির অর্থমন্ত্রী রোবার্টো গোয়ালতায়েরিও। যেখানে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে আর্থিক সহায়তা ও সম্মিলিত সহযোগিতা করা হবে বলে মন্ত্রী পর্যায়ের এ আলোচনায় সবাই নিশ্চিত করেছেন। সবাই মনে করেন, আর্থিক সহায়তার যে নীতি নেয়া হয়েছে, সেটি বন্ধ করে দেয়া হবে অত্যন্ত অপরিপক্ব কাজ।
অন্যদিকে জি৭-এর এ টেলিকনফারেন্সের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। যেখানে দেশটির অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে বাইডেন প্রশাসনের বহুত্ববাদের প্রতিশ্রুতির বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তার দেশ মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করাসহ আন্তর্জাতিক বিষয়ে নিজেদের সংশ্লিষ্টতা বাড়াবে। আর এ বিষয়টিকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে নতুন প্রশাসন।
অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম এ নারী অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন সময় দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নেয়ার। এ সময়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আরো কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া যায়, জি৭ দেশগুলোর সে বিষয়ে নজর দেয়া দরকার।
অন্যদিকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য নীতি সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন জাপানের অর্থমন্ত্রী তারো আসো। একই সঙ্গে তিনি গরিব ও উন্নয়নশীল দেশগুলোয় দ্রুত ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরুর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এজন্য ভ্যাকসিন বিতরণের গতি বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি।