মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ফলে এখন থেকে সরকারি–বেসরকারি খাতে করোনার টিকা আমদানি করলেও আমদানি পর্যায়ে কোনো অগ্রিম কর দিতে হবে না। সাধারণত যেকোনো পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ অগ্রিম কর দিতে হয়। পরে আমদানিকারক তা বার্ষিক আয়কর বিবরণীর সঙ্গে সমন্বয় করতে পারেন।
করোনার টিকা আমদানিতে অগ্রিম কর দিতে হবে না। জীবন রক্ষাকারী ওষুধ হিসেবে ভ্যাট ও আমদানি শুল্কও নেই। ফলে কোনো শুল্ক-কর ছাড়াই টিকা আসবে।
এদিকে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ হিসেবে এমনিতে টিকা আনতে কোনো ভ্যাট দিতে হবে না। এমনকি আমদানি শুল্কও মওকুফ করা আছে। এর ফলে করোনার টিকা মূলত কোনো শুল্ক-কর ছাড়াই দেশে আনা যাবে।
এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সহায়ক হিসেবে পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ফেসশিল্ডসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী আমদানিতেও কোনো শুল্ক-কর নেই। এমনকি এসব সুরক্ষাসামগ্রী বানাতে কাঁচামাল আমদানিতেও কোনো শুল্ক নেই।
গত জানুয়ারি মাসে প্রথম এ দেশে ভারত থেকে কোভিশিল্ড টিকা আমদানি শুরু হয়। এই পর্যন্ত ৭০ লাখ টিকা দেশে এসেছে। এর মধ্যে ২০ লাখ টিকা ভারতের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া গেছে।
গত জানুয়ারি মাসে প্রথম এ দেশে ভারত থেকে কোভিশিল্ড টিকা আমদানি শুরু হয়। এই পর্যন্ত ৭০ লাখ টিকা দেশে এসেছে। এর মধ্যে ২০ লাখ টিকা ভারতের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া গেছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকা বানাচ্ছে।
এখন পর্যন্ত ৩ কোটি টিকা আনার বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বেসরকারি খাতের মাধ্যমে টিকা আমদানির বিষয়টি আলোচনায় আছে। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে জনগণকে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।