গতকাল মঙ্গলবার এক প্রজ্ঞাপন জারি করে এই তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কোনো গ্রাহক ঋণ নিতে চাইলে তাকে ঋণ দেয়া হবে কি-না তা যাচাই-বাছাই করা হয় এই আইসিআরআর নীতিমালার আলোকে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করোনাকালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় আইসিআরআর নীতিমালা শিথিল করার কথা বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ঋণ পেতে হলে সাধারণত আইসিআরআরে ৬০ নম্বর পেতে হতো, এখন এর পরিমাণ ও গুণগত মান বিবেচনায় ৫৫ নম্বর পেলেই গ্রাহকরা ঋণ পাবেন। কারও ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য আছে কি-না, ব্যাংকের সঙ্গে অতীতের লেনদেনসহ আরও কিছু বিষয় নিয়ে এই আইসিআরআর-এর নম্বর দেয়া হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আইসিআরআর বিবেচনায় ৭৫-এর বেশি পেলে ‘চমৎকার’, ৬৫-এর বেশি এবং ৭৫-এর কম নম্বর পেলে ‘ভালো’, ৫৫-এর বেশি এবং ৬৫-এর কম পেলে ‘প্রান্তিক’ এবং ৫৫-এর নিচে নম্বর পেলে ‘অগ্রহণযোগ্য’ রেটিং দেয়া হবে।
তবে কোনো গ্রাহক গুণগত রেটিংয়ে যত নম্বরই পান না কেন, পরিমাণগত রেটিংয়ে ৫০ শতাংশ নম্বর না পেলে তাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ রেটিং দেয়া হবে। তাকে কোনোভাবেই ঋণ দেয়া যাবে না।
আইসিআরআর নামের এই নীতিমালায় ঋণের পরিমাণ ও গুণগত উভয় ধরনের সক্ষমতার মূল্যায়ন শর্ত রাখা হয়।
মূল্যায়নের ভিত্তিতে গ্রাহককে ৪ শ্রেণিতে বিভাজন করবে ব্যাংকগুলো। কোনো গ্রাহক ‘চমৎকার’ (এক্সিলেন্ট) বা ‘ভালো’ (গুড) রেটিং পেলে ব্যাংক তাকে অর্থায়ন করতে পারবে।
‘প্রান্তিক’ (মার্জিনাল) রেটিংধারী গ্রাহককে পুরোনো ঋণ নবায়ন বা নতুন করে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
তবে ‘অগ্রহণযোগ্য’ রেটিংধারীকে কোনো পরিস্থিতিতেই নতুন ঋণ দিতে পারবে না ব্যাংকগুলো, যদি না আগের ঋণ শতভাগ নগদ পরিশোধ হয় অথবা জামানত দিয়ে ঋণটি আচ্ছাদন করা হয়।
‘অগ্রহণযোগ্য’ (আনএকসেপ্টেবল) রেটিংভুক্ত গ্রাহকের আগের ঋণ সর্বোচ্চ দুইবার নবায়ন বা বর্ধিত করা যাবে।