বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত শিল্প মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
যে আট কারণে সংস্থাটি লোকসান গুনছে সেই সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, চিনির উৎপাদন খরচের চেয়ে বিক্রয়মূল্য কম হওয়া; বিশ্বব্যাপী চিনির দাম কমে যাওয়া; পুঞ্জীভূত ঋণ ও সুদের পরিমাণ অনেক বেশি হওয়া; পোকা ও রোগবালাই প্রতিরোধসক্ষম আখের জাত উদ্ভাবন না হওয়া; দীর্ঘদিনের পুরোনো ও জরাজীর্ণ কারখানা; বেসরকারি খাতে আমদানি করা ‘র’ সুগার থেকে পরিশোধিত চিনি উৎপাদন করে কম দামে বাজারজাতের ফলে বিএসএফআইসির চিনি অবিক্রীত থাকা; আখের মূল্য ও চিনির মূল্যের মধ্যে সামঞ্জস্য না থাকা, উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া ও চিনি সংগ্রহের হার কমে যাওয়ায় লোকসান হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বিএসএফআইসি জানিয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত ৫ বছরে প্রতিষ্ঠানটির আয় হয়েছে ৩ হাজার ১৪৭ কোটি ২২ লাখ টাকা। এ সময়ে ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ৮৬ কোটি ২ লাখ টাকা। বর্তমান দায়দেনা ৮ হাজার ৮৪৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্ধ চিনিকলগুলো চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া, চিনিশিল্পে লোকসানের মূল কারণ উদ্ঘাটন করে অপ্রয়োজনীয় জনবল ছাঁটাই এবং অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মতো ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরও যথানিয়মে কাজে উদ্বুদ্ধ করতে কমিটি সুপারিশ করে।
কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাংসদ এ কে এম ফজলুল হক, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন, মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান, কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ও শফিউল ইসলাম।