শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমনটাই জানিয়েছে।
মোয়ি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় অং সাং সূ চি’র সরকারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘সেনা শাসনের অবসান ঘটানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’
এই বক্তব্যকে রাষ্ট্রের সঙ্গে বেঈমানি করার সামিল উল্লেখ করে তাকে বারখাস্ত করে জান্তা সরকার। পাশাপাশি মিয়ানমার যে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয় সেটার অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কথা বলাটাও ঠিক হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সেদিন দেশটির সেনাবাহিনী নবনির্বাচিত ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এনএলডি) নেত্রী অং সাং সূ চিসহ অন্যান্য নেতাদের গ্রেফতার করে সামরিক শাসন জারি করে। এই সেনা শাসনের বিরুদ্ধে নানামুখী নিষেধাজ্ঞা সত্বেও দেশটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বিক্ষোভ করছে।
অবশ্য হঠাৎ দেশটিতে আবার সেনা অভ্যুত্থানের বিষয়টি নিয়ে চীন খুব একটা নাক গলাচ্ছে না। তারা বিষয়টিকে তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে এড়িয়ে যাচ্ছে। তবে উদ্ভুত পরিস্থিতির একটা সমাধান করার লক্ষ্যে চীন সব ধরনের কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে।