আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এমনটি জানা যায়।
এই প্রস্তাবের ফলে কোনো ব্যক্তি জনসমক্ষে মুখ ঢেকে রাখতে পারবেন না। রেস্তোঁরা, স্টেডিয়াম, গণপরিবহণ এমনকি রাস্তায় হাঁটার ক্ষেত্রেও মুখ ঢাকা পোশাক পরা যাবে না। তবে ধর্মীয় উপাসনালয় এবং নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যগত কারণে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ করোনা থেকে রক্ষায় মাস্ক পরতে কোনো সমস্যা নেই। তবে ধর্মীয় উপাসনালয়ে এই নিয়মের ছাড় দেয়া হবে।
গণভোটে মুসলিমদের পোশাককে সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিষদভাবে এটিকে ‘বোরকা নিষেধ’এর ইঙ্গিত বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। দেশটির শীর্ষ ইসলামী গোষ্ঠী সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব মুসলিম এটিকে মুসলিমদের জন্য ‘একটি কালো দিন হিসেবে উল্লেখ করেছে।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, আজকের এই সিদ্ধান্ত পুরনো ক্ষতকে উন্মুক্ত করলো, আইনি বৈষম্যের নীতিকে আরও প্রসারিত করলো এবং মুসলিম সংখ্যালঘুদের বর্জনের একটি স্পষ্ট বার্তা। এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে তারা আদালতে যাবে বলেও জানানো হয়।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তি দেখিয়ে বলা হয়েছে, নারীরা যা পরেন তা সরকারের ওপর নির্ভর কর না।
সুইজারল্যান্ডের নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো বিষয়ে এক লাখ মানুষ স্বাক্ষর প্রদান করলে সেই প্রস্তাবের উপর জাতীয় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। গণভোটে ৫১ দশমিক দুই শতাংশ মানুষ প্রস্তাবটির পক্ষে রায় দিয়েছেন। তবে দেশটির ২৬টি ক্যান্টনের (প্রশাসনিক অঞ্চল) ছয়টিতে বেশিরভাগ মানুষ এই প্রস্তাব সমর্থন করেননি। এই ছয় ক্যান্টনের মধ্যে রয়েছে দেশটির সবচেয়ে বড় তিন শহর জুরিখ, জেনেভা ও বাসেল। এছাড়া রাজধানী বার্নের অধিকাংশ মানুষও ছিলেন বিপক্ষে।