আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতার কারণ দেখিয়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৫০ টাকায় বিক্রি করতে চায় ব্যবসায়ীরা। অথচ চলতি মাসের মাঝামাঝিতে দ্বিতীয় দফা দাম বাড়িয়ে খুচরায় বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৩৯ টাকা লিটারে বিক্রির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল ওয়েল রিফাইনার্স এন্ড বনষ্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবনাটি জাতীয় মূল্য পর্যবেক্ষণ ও নির্ধারণ কমিটি যাচাই বাছাই করছে বলে জানা গেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মার্চের ১৫ তারিখ পর্যন্ত দুই দফায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হয়।
তেলের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে টিকে গ্রুপের পরিচালক (ফাইন্যান্স এন্ড অপারেশন) মো. শফিউল আতহার তাসলিম গণমাধ্যমকে বলেন, 'নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববাজারের দামের সঙ্গে সমন্বয় করতে জাতীয় মূল্য পর্যবেক্ষণ ও নির্ধারণ কমিটির প্রতি ১৫ দিন পর পর মিটিং করার কথা। আমাদেরও একই সময় পর পর বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে তেলের দামের প্রস্তাবনা দিতে হচ্ছে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ছেই।'
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের এফওবি মূল্য ১২৬৯ ডলার এবং অপরিশোধিত পাম ওয়েলের মূল্য ১০৩৪ ডলার।
ব্যবসায়ীরা বলছে, গত ছয় মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির পরিমাণ ৬৫ শতাংশের বেশি। সে অনুযায়ী দেশের বাজারে তেলের দাম কমই বেড়েছে।
টিসিবির বাজার বিশ্লেষণের তথ্য বলছে, গত এক মাসের ব্যবধানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল এক বছর আগের তুলনায় ২৫.৫৮ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
মো. শফিউল আতহার তাসলিম বলেন, তেলের দাম এখন ১৩০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। সে হিসেবে দাম বাড়ানোর বিকল্প নেই।
জানা গেছে, সারা বছর প্রায় ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। তবে একক মাস হিসেবে সামনে রোজায় সবচেয়ে বেশি ভোজ্যতেলের ব্যবহার হয়। রোজার আগে তেলের দাম আরেক দফা বাড়লে সাধারণ মানুষেরও কষ্ট বাড়বে। কারণ ইতিমধ্যেই চাল, চিনি, তেলের বাড়তি দাম নিয়ে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।