তারপর দূতাবাসের সদস্যদের উপস্থিতিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ ও আত্মত্যাগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিটের নীরবতাসহ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর মান্যবর রাষ্ট্রদূত সকলকে নিয়ে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্ণার ও লাইব্রেরীতে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বিকালের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বেইজিং এর প্রতিষ্ঠিত মেরিয়ট নর্থইস্ট হোটেলে একটি জাঁকজমকপূর্ণ অভ্যর্থনার আয়োজন করা হয়, যেখানে চীনের ১৩তম জাতীয় পিপলস কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান (উপ-প্রধানমন্ত্রী সমমর্যাদা) উ ওয়াইহোয়া প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। প্রধান অতিথির সফরসঙ্গী ছিলেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী লু ঝাও হুই এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ।
সুবর্ণ জয়ন্তীর এই অনুষ্ঠানে চীনা সরকার বাংলাদেশকে সম্মান দেখিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রধান অতিথি নির্ধারণ করেছে। অভ্যর্থনার আনুষ্ঠানিক পর্বে বাংলাদেশ ও চীনের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। তারপর চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বক্তব্য প্রদান করেন এবং বক্তব্যটি চীনা ভাষায় অনুবাদ করা হয়। প্রধান অতিথি চীনা ভাষায় বক্তব্য প্রদান করেন এবং তা ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়। এরপর দুই দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব কামনা করে রাষ্ট্রদূত এবং প্রধান অতিথি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বের এবং অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ এবং আত্মউৎসর্গকারী মুক্তিযোদ্ধাদের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। প্রধান অতিথি এই অনুষ্ঠানটির মর্যাদা বৃদ্ধি করায় তিনি চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিনত হওয়ার সুনির্দিষ্ট পথরেখা এবং পদক্ষেপের বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেন। তিনি চীনা সরকারকে বাংলাদেশের এই উন্নয়ন অভিযাত্রা, প্রগতি ও সমৃদ্ধির অংশীদার হওয়ায় ধন্যবাদ জানান।
এরপর বাংলাদেশী শিল্পীদের সমন্বয়ে একটি নৃত্য পরিবেশনা করা হয়। “পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে-রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল” এই গানটির সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন দূতাবাস পরিবারের সদস্য নিহন আনান রহমান, রোকাইয়া তাহিরা এবং নামিরা করিম চৌধুরী।প্রধান অতিথি এবং অন্যান্য রাষ্ট্রদূতগণ ৫০তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতকৃত একটি কেক কাটায় অংশগ্রহণ করেন।