নির্বাচনে ঢাকায় ১ হাজার ৮৫৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ৬০৪ জন। অন্যদিকে চট্টগ্রাম নির্বাচন কেন্দ্রে ৪৬১ ভোটের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৯২ জন। ফলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে মোট ১ হাজার ৯৯৬টি বা ৮৪ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।
ভোটের শুরুতে সকালে ফোরামের প্যানেল লিডার এ বি এম সামছুদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করেই সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থীরা নির্বাচনের প্রবেশপথে হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটিয়েছেন। তারা কেউ বিজিএমইএর সদস্য না, তারা বহিরাগত। বহিরাগতদের জটলার কারণে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে পারছেন না। ঠিক তার বিপরীত চিত্র ছিল দুপুর একটার দিকে। সেসময় ফোরামের লোগো সম্বলিত সাদা গেঞ্জি পরিহিত কয়েকশ যুবককে ভোটকেন্দ্রের বাইরে জটলা পাকাতে দেখা যায়।
সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার ফারুক হাসান বলেন, ভোট সুষ্ঠু হয়েছে তবে কেন্দ্রের বাইরে কে বা কারা জটলা করছে এটা বলতে পারবো না। ফোরামের পছন্দমতো স্থানে নির্বাচন হচ্ছে। কমিশন চাইলে সব জটলা বন্ধ করতে পারে। তবে জয়ের ব্যাপারে দুই প্যানেলই আশাবাদী।
সন্ধ্যায় বিজিএমইএ সভাপতি ও ফোরাম থেকে পরিচালক পদপ্রার্থী ড. রুবানা হক সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর ঘরোয়াভাবে প্রচার শুরু করে ‘সম্মিলিত পরিষদ’ ও ‘ফোরাম’ নামে দুই প্যানেলের প্রার্থীরা। এবারের নির্বাচনে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সমিতির ৩৫টি পরিচালক পদের জন্য দুই প্যানেলের ৩৫ জন করে মোট ৭০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ঢাকা অঞ্চলে ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ৮৫৩ জন এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভোটার ৪৬১ জন।
এর আগে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় এ নির্বাচন নিয়ে কিছুটা দ্বিধা দেখা দিয়েছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুই প্যানেলের (সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে নির্বাচন বোর্ড। উভয়পক্ষই পূর্বনির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে মত দেয়।