এ ছাড়া পোশাক কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন হচ্ছে কি না, সেটি তদারকি করবে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ। দুই সংগঠনের নেতারা গণমাধ্যমকে জানান, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে এবার সংশ্লিষ্ট কারখানার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামীকাল বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ‘সর্বাত্মক লকডাউন’–এর সময় কাজ ও চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। যদিও রোববারই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে পোশাকশিল্প মালিকেরা জানান, লকডাউনে শিল্পকারখানা চালু থাকবে।
এ বিষয়ে শ্রমসচিব কে এম আবদুস সালাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহায়তায় আমরা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে একটি নির্দেশিকা তৈরি করেছি। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর আলাদা একটা প্রটোকল প্রস্তুত করেছে। তাতে কারখানা থেকে শুরু করে বাসায় ফিরে কী কী করতে হবে, তা সুন্দরভাবে উল্লেখ আছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরও আলাদা নির্দেশিকা রয়েছে। সবই মেনে চলতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না, সেটি তদারকির জন্য ২৩টি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সংশ্লিষ্ট কারখানার বিরুদ্ধে শ্রম আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শুরুতে সর্বাত্মক লকডাউনে সরকার শিল্পকারখানা বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করেছিল। তবে বাদ সাধেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকেরা। সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে দেনদরবার শুরু করেন পোশাকশিল্প মালিকদের দুটি সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা। তাঁদের যুক্তি—কারখানা বন্ধ হলে ক্রয়াদেশ পাওয়া যাবে না, বর্তমান ক্রয়াদেশের পণ্য সময়মতো সরবরাহে ব্যর্থ হবেন মালিকেরা এবং শ্রমিকেরাও বাড়ির দিকে ছুটলে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। শেষ পর্যন্ত সরকার শিল্পকারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
দেশে করোনার প্রথম ঢেউয়ের শুরুতে মাসখানেক কারখানা বন্ধ ছিল। গত বছরের এপ্রিলের শেষ দিকে সাধারণ ছুটির মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হয়। তবে প্রথম কয়েক দিন স্বাস্থ্যবিধি মানলেও পরে সেটি ঢিলেঢালা হয়ে যায়। আবার প্রথম দিকে তদারকি কিছুটা থাকলেও কয়েক দিন পর তা বন্ধ হয়ে যায়। যদিও সরকারের প্রজ্ঞাপনের পর বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ নিজেদের সদস্যদের জন্য আলাদা করে নির্দেশনা দেয়।