করোনা সংক্রমণ শুরুর সময়ে রাজধানী থিম্পুর হাসপাতালে আক্রান্ত এক যুবকের একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্যু হয়। তার পর থেকে সে দেশে এক জনেরও করোনায় মৃত্যু হয়নি। দৈনিক সংক্রমণও আছে নিয়ন্ত্রণে।
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির দেওয়া তথ্যানুসারে, ভুটানে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ২০২ জন এবং মারা গেছে একজন। আক্রান্তদের মধ্যে এক হাজার ৬৫জন সুস্থ হয়েছে এবং বর্তমানে আক্রান্ত রয়েছে ১৩৬ জন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনস্বাস্থ্যে বিশেষ জোর দেওয়ার কারণেই সে দেশে করোনা তেমন করে কামড় বসাতে পারেনি। ভুটানে রয়েছেন মোট ৩৩৭ জন চিকিৎসক, তিন হাজার স্বাস্থ্যকর্মী। তার পরেও লড়াইয়ে প্রায় জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে ভুটান।
প্রশাসনিক পরিকল্পনার জেরেই এমনটা হয়েছে। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়লে ভুটান করোনার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিল ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে।
গত বছরের মার্চ মাসের ৬ তারিখে ভুটানে প্রথম আক্রান্তের খবর মেলে। তার ৬ ঘণ্টা ১৮ মিনিটের মধ্যে আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ৩০০ জনকে চিহ্নিত করে পরীক্ষা শুরু হয় এবং কোয়ারেন্টিন করা হয়। এমন পরিকল্পনার জেরে অনেকটা এগিয়ে গেছে ছোট্ট দেশটি।