এদিকে জার্মানিতে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত প্রায় ৩ হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ২ হাজার ৭০৫ জন।
করোনার থাবায় ইউরোপের বিভিন্ন শহর যখন লাশের নগরীতে রূপ নিচ্ছে তখন একেবারেই উল্টো চিত্র দেখা গেল ভাইরাসটির আঁতুড়ঘর চীনের উহানে।
সারাবিশ্ব যখন করোনা আতঙ্কে সব কিছু বাতিল করেছে সেখানে এর উৎপত্তিস্থল সেই উহানের আকাশ আলো করে ফুটছে আতশবাজি। ঠিক যেন নব বর্ষ উদযাপন চলছে।
জানা গেছে, সারাবিশ্বে যখন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে সেখানে এর উৎপত্তিস্থল সেই উহানে টানা তিন দিন কোনো কোভিড-১৯ রোগী ধরা পড়েনি। যে কারণে শহরটি তার লকডাউন পরিস্থিতি উঠিয়ে নিয়েছে। নিরাপত্তাজনিত সব চৌকি সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন দীর্ঘ আড়াইমাস ধরে হাসপাতালে নিরসলস সেবা দিয়ে যাওয়া চিকিৎসক-নার্সরা।
বলতে গেলে ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে শুরু করেছেন উহানবাসী। করোনামুক্তিকে চীনের ইতিহাসের সেরা অর্জন বলে দাবি তাদের।
আর এই অর্জন উদযাপন করতে আতশবাজি পুড়িয়ে আকাশ আলোকজ্জল করেছেন উহানবাসীরা।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, মানুষ যাতে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করে ভাইরাসটি ছড়াতে না পারে, সে জন্য তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছিল উহানে। তবে এখন আর সেই লকডাউন পরিস্থিতি নেই। গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে উহানের তল্লাশিচৌকি অপসারণ। এসব চৌকি অপসারণ করে আতশবাজি ফোটানোর মাধ্যমে বিষয়টি উদযাপন করছেন তারা।
সংবাদমাধ্যমটি আরও বলছে, নতুন করে কোনো করোনা রোগী শনাক্ত না হওয়ায় ইতিমধ্যে উহানে স্থাপিত ১৬টি অস্থায়ী হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে চীন। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবীরা নিজ নিজ প্রদেশে চলে গেছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে মানুষ কাজে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে।