এর আগে গত ১৯ মে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটির তোয়াক্কা না করে ব্যবসায়ীরা নিজেরাই প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে ৫ টাকা করে বাড়িয়ে দেয়। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে লিটারে ৫ টাকার পরিবর্তে ২ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখন প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ হয় ১৪১ টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রস্তাবে অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, দেশে চাহিদার ৯৫ শতাংশ ভোজ্যতেল বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। আর আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু সে হিসেবে দেশে সয়াবিন তেলের দাম তুলনামূলক কম বেড়েছে।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, ব্যবসায়ীদের সয়াবিনের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একটি বৈঠক রয়েছে। তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে গত ১৫ মার্চ কমিটি এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৬৬০ টাকা , খোলা সয়াবিন ১১৭ টাকা ও পামতেল ১০৯ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। আর ১৭ ফেব্রুয়ারি এই কমিটি প্রথমবারের মতো ভোজ্যতেলের দর নির্ধারণ করে। সে সময় প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১১৫ টাকা, বোতলজাত সয়াবিনের লিটার ১৩৫ টাকা ও পামঅয়েল ১০৪ টাকা বিক্রির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।