বুধবার (০২ জুন) সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাংলাদেশ চা বোর্ড এর উদ্যোগে ‘১ম জাতীয় চা দিবস-২০২১’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত জুম প্লাটফর্মে প্রেস ব্রিফিং এ বক্তব্য প্রদানের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, চা শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। চা বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় রফতানি পণ্য। আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের চা’র বিপুল চাহিদা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে চা রফতানি করা সম্ভব।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে চা শিল্পে তার অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তার যোগদানের তারিখ ৪ জুনকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে চা শিল্পের ভূমিকাকে বিবেচনায় নিয়ে ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। গত ২০ জুলাই ২০২০ তারিখ মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এদিন বঙ্গবন্ধু চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। সে মোতাবেক আগামী ৪ জুন ‘১ম জাতীয় চা দিবস-২০২১’ উদযাপন করা হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এদিন সকাল ১০টায় জাতীয় চা দিবসের উদ্বোধন করা হবে এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে দিনব্যাপী চা প্রদর্শন করা হবে। চা প্রদর্শনীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা প্রদর্শন করবে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু প্যাভেলিয়ন এবং শ্রীমঙ্গলের টি মিউজিয়ামে রক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ জিনিসপত্র প্রদর্শন করা হবে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন।
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এবং বিডা আয়োজিত বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া ইনভেস্টমেন্ট সামিট শীর্ষক জুম প্লাটফর্ম আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।