বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) শিল্প মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু শিল্প-বাণিজ্য পুরস্কার ২০২০ জয়ী হিসেবে ফরচুন গ্রুপের নাম ঘোষণা করে।
এবিষয়ে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, 'ফরচুন গ্রুপ অতি অল্প সময়ে বিশ্বের অনেক দেশের আস্থা অর্জন করেছে। এই অল্প সময়ের মধ্যেই তারা ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ সাফল্যজনকভাবে রপ্তানি করছে। যা বাংলাদেশের চামড়াজাত শিল্পের ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহযোগিতা করছে। এই অভাবনীয় সাফল্যের জন্যই এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
ফরচুন গ্রুপ মাঝারি ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এই খাতে ফরচুন সুজ একমাত্র কোম্পানি যেটি এই পুরষ্কার পেয়েছে। গ্রুপটি বাংলাদেশে জুতা তৈরি করে ইউরোপের প্রায় সবগুলো দেশেই গত আট বছর ধরে রপ্তানি করে আসছে। এখানে বর্তমানে প্রায় ৭ হাজার লোক কর্মরত রয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠান ২০১০ সালে চট্টগ্রাম থেকে শুরু করলেও ২০১২ থেকে বরিশালের বিসিক এরিয়ায় তাদের ফ্যাক্টরি স্থাপন শুরু করে বর্তমানে বরিশালেই তাদের তিনটি জুতা ফ্যাক্টরি রয়েছে। জুতা তৈরি করতে সব ধরনের ব্যাক কিওয়ার্ড ফ্যাক্টরি ও রয়েছে ফরচুন গ্রুপের।
এদিকে ফোর্বস সাধারণত বিশ্বের সবচেয়ে ধনাঢ্য ব্যক্তি, বেশি আয় করা সেলিব্রেটি, শীর্ষ কোম্পানি, শক্তিশালী ব্যক্তি প্রভৃতির তালিকার জন্য বিখ্যাত। সাময়িকীটি তাদের ‘এশিয়া’র ২০০ বেস্ট আন্ডার এ বিলিয়ন ২০২০ র্যাংকিং’ এর প্রতিবেদনে বলছে, তুলনামূলক নতুন হলেও বাংলাদেশে পাদুকা খাতের প্রতিষ্ঠান ফরচুন সুজ ভালো ব্যবসা করছে। তাদের বিক্রির পরিমাণ প্রায় ১৮ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে নিট আয় ৩ মিলিয়ন ডলার। আর প্রতিষ্ঠানটির কর্মী রয়েছেন ১ হাজার ৭২৩ জন। এই খাতে ফরচুন সুজ একমাত্র কোম্পানি যে এই তালিকায় স্থান পেয়েছে।
এছাড়াও জানা যায়, বর্তমানে ঢাকা ও বরিশাল মিলিয়ে ফরচুনের পাঁচটি আধুনিক জুতা তৈরি শিল্প কারখানা রয়েছে। এটি একটি শতভাগ রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান। এরা মূলত বিভিন্ন ধরনের স্পোর্টস স্যু তৈরি করে থাকে। বিশ্বের অনেক বড় বড় ব্রাঞ্চ এখান থেকে তাদের জুতা সংগ্রহ করে।
এবিষয়ে ফরচুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, এই পুরস্কারের দাবিদার আমি না, আমার সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী। বিশেষ করে কারখানার শ্রমিকেরা। আমি বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ জানাই মাননীয় শিল্প মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীকে।
এদিকে দেশের পুঁজিবাজারে ২০১৬ সালে তালিকাভুক্ত হয় ফরচুন সুজ। কোম্পানিটি বর্তমানে এ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে।
কোম্পানিটির শেয়ারে বিনিয়েোগকারীদের আগ্রহ বিবেচনায় দেখা গেছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আগের তুলনায় বেড়েছে কোম্পানিটিতে। ২০২০ সালে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের অংশগ্রহণ ছিল ৫৪ দশমিক ০৭ শতাংশ। যার পরিমাণ চলতি বছর বেড়ে দাড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।
এছাড়া চলতি বছরে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ কমেছে। আগের বছর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ছিল ১৫ শতাংশ, যা চলতি বছর কমে দাড়িয়েছে ১২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। অপরদিকে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩০ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার।