এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৮ কোটি ৪২ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৯ লাখ ৮৬ হাজার।
রোববার (৪ জুলাই) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ হাজার ৯৭৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু কমেছে ১২০০-র বেশি। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৯ লাখ ৮৬ হাজার ৮৮৩ জনে।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৩৭২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৫৭ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৪২ লাখ ১৪ হাজার ১০৫ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৮৮ হাজার ১৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ২১ হাজার ২৫৫ জন মারা গেছেন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৬৩১ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ হাজার ৫৫৬ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৮৭ লাখ ৪২ হাজার ২৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ৬৯৯ জনের।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৪৭ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৪৮৫ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ২ হাজার ১৫ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫৭ লাখ ৮৩ হাজার ৬৫৪ জন, রাশিয়ায় ৫৫ লাখ ৮৫ হাজার ৭৯৯ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৮ লাখ ৭৯ হাজার ৬১৬ জন, ইতালিতে ৪২ লাখ ৬২ হাজার ৫১১ জন, তুরস্কে ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ৩৬৮ জন, স্পেনে ৩৮ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৮ জন, জার্মানিতে ৩৭ লাখ ৩৮ হাজার ৪০ জন এবং মেক্সিকোতে ২৫ লাখ ৩১ হাজার ২২৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১১ হাজার ১৫২ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৩৭ হাজার ২৬২ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৮ হাজার ২০৭ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৭ হাজার ৬৩৭ জন, তুরস্কে ৪৯ হাজার ৮৭৪ জন, স্পেনে ৮০ হাজার ৯১১ জন, জার্মানিতে ৯১ হাজার ৫৮৩ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৪২৫ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।