শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনের আন্তর্জাতিক জোট ক্লিন ক্লথ ক্যাম্পেইনের (সিসিসি) এক গবেষণায় বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার পোশাকশ্রমিকদের মজুরি চুরির প্রমাণ পেয়েছে। নাইকি, প্রাইমার্ক ও এইচঅ্যান্ডএম ছাড়া অন্য অনেক ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের সরবরাহকারী কারখানাও করোনাকালে শ্রমিকের মজুরি কম দিয়েছে।
৪৯ জন পোশাকশ্রমিকের সাক্ষাৎকার নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সিসিসি। শ্রমিকদের ৭০ শতাংশ জানিয়েছেন, করোনাকালে তাঁরা স্বাভাবিক মজুরি পাননি। যদিও করোনার আগে যে যা পেতেন, তা দিয়ে দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করতে হতো। মহামারিতে কম মজুরিতে শ্রমিকদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাইমার্কের সরবরাহকারী কারখানার ১১ শ্রমিকের পাওনা ২ হাজার ৮৯০ ডলার, এইচঅ্যান্ডএমের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ১৮ শ্রমিকের ২ হাজার ৩৬৮ ডলার এবং প্রাইমার্কের সরবরাহকারী কারখানার ১৩ শ্রমিকের পাওনা ১ হাজার ৫২৭ ডলার। মজুরি কম দিলেও পোশাক সেলাইয়ের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি, অনিরাপদ কর্মপরিবেশ ও কর্মকর্তাদের গালমন্দ যথারীতি ছিল বলে অভিযোগ করেছেন শ্রমিকেরা।
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচঅ্যান্ডএম ও নাইকি তাদের সরবরাহব্যবস্থার শ্রমিকদের মজুরির বিষয়ে স্থানীয় নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে। আর প্রাইমার্ক বলেছে, গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য-উপাত্ত তারা গুরুত্বসহকারে নিয়েছে।