গত ৭ জুলাই রাতের আঁধারে রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সে ব্যক্তিগত বাসভবনে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসেকে আততায়ীরা গুলি চালিয়ে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডকে ‘অমানবিক এবং বর্বরোচিত’ বলে নিন্দা জানিয়েছিলেন ক্লদ জোসেফ।
ওয়াশিংটন পোস্টকে জোসেফ বলেছেন, তিনি সোমবার ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। খুন হওয়ার মাত্র দু’দিন আগে প্রেসিডেন্ট মোয়েসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অ্যারিয়েল হেনরিকে নিয়োগ দিয়েছিলেন। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাকে হাইতির মনোনীত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। জোসেফের পদত্যাগে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।
হত্যাকাণ্ডের শিকার প্রেসিডেন্ট মোয়েসের আমলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন ক্লদ জোসেফ। অ্যারিয়েল হেনরিকে নিয়োগ দেওয়ার আগে পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। তবে হেনরিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছেন জোসেফ। তিনি বলেছেন, মোয়েসের হত্যাকাণ্ডের আগে শপথ না নেওয়ায় হেনরি মনোনীত প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন না।
ওয়াশিংটন পোস্টকে জোসেফ বলেছেন, গত সপ্তাহে একাধিকবার হেনরির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। দেশের কল্যাণের স্বার্থে জোসেফ রোববার পদত্যাগে রাজি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, যারা আমাকে চেনেন, তারা সবাই জানেন যে, আমি এই লড়াই অথবা ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে আগ্রহী নই। প্রেসিডেন্ট আমার বন্ধু ছিলেন। আমি কেবলমাত্র তার ন্যায়বিচার দেখতে আগ্রহী।
তবে জোসেফ কতদ্রুত পদত্যাগ করবেন তা এখনও পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছেন জোসেফ। ক্রমবর্ধমান মানবিক সঙ্কট এবং খাদ্য ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছে রাজনৈতিকভাবে বিভাজিত হাইতি। যে কারণে দেশটিতে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্যারিবীয় অঞ্চলের দারিদ্রপীড়িত এই দেশটিতে বাড়তে থাকা রাজনৈতিক সহিংসতার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট মোয়েসে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।