বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিসটিকস রিভিউ ২০২১ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। শুক্রবার (৩০ জুলাই) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ডব্লিউটিও।
এতে দেখা যায়, ২০২০ সালে ভিয়েতনাম ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। আর বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পোশাক। অথচ তার আগের বছর বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। তখন ভিয়েতনামের রপ্তানি ছিল ৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার।
রপ্তানির পাশাপাশি বৈশ্বিক বাজারে রপ্তানির হিস্যাও কমেছে বাংলাদেশের। ২০১৯ সালে বিশ্বে যত পোশাক রপ্তানি হয়, তার মধ্যে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ ছিল বাংলাদেশি। গত বছর সেটি কমে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে ভিয়েতনামের বাজার হিস্যা গত বছর ৬ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অবশ্য ২০১০ সালে বাংলাদেশের হিস্যা ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। তখন ভিয়েতনামের ছিল ২ দশমিক ৯ শতাংশ। ১০ বছরের ব্যবধানে সেই ভিয়েতনামই টপকে গেল বাংলাদেশকে।
অবশ্য বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকেরা গণমাধ্যমে বলছেন, করোনার কারণে গত বছর প্রায় এক মাস পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। সে সময় পণ্য রপ্তানি হয়নি। অনেক ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে। ফলে বন্ধের পর কারখানা খুললেও ক্রয়াদেশ কম ছিল। সে কারণে সহজেই ভিয়েতনাম বাংলাদেশকে পেছনে ফেলতে পারে। তবে চলতি বছর চিত্র আবার পাল্টে যাবে। কারণ, বর্তমানে প্রচুর ক্রয়াদেশ আসছে। অনেক কারখানা ২০১৯ সালের চেয়ে ৫-১০ শতাংশ ক্রয়াদেশ বেশি পাচ্ছে।
ডব্লিউটিওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে চীন সবচেয়ে বেশি ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। তার আগের বছরের চেয়ে দেশটির পোশাক রপ্তানি ৭ শতাংশ কমেছে। তারপর চীন বিশ্বের মোট পোশাক রপ্তানি ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ দখলে রেখেছে। একক দেশ হিসেবে ভিয়েতনাম দ্বিতীয় পোশাক রপ্তানিকারক হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো সম্মিলিতভাবে এই জায়গা বহুদিন ধরেই দখল করে আছে। গত বছর ইইউর দেশগুলো নিজেদের অঞ্চলে ১২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। আর ইইউর বাইরে তাদের রপ্তানির পরিমাণ ৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।