গতকাল অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
বারভিডা সরকারের রাজস্ব আয়ের একটি অন্যতম প্রধান উৎস উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারকে বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব প্রদান করে থাকে। এছাড়া বারভিডার সদস্যরা প্রত্যেকেই নির্ধারিত আয়কর এবং ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে যথাযথ ভ্যাট প্রদানের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্যান্য বাণিজ্য খাতের মতো রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি ও বিপণন কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকায় এ খাতের ব্যবসায়ীরা চরম অর্থনৈতিক সংকটে দিন কাটাচ্ছেন উল্লেখ করে এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারের কাছে জানানো দাবিগুলো হলো, রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিকারকদের বিপুল আর্থিক ক্ষতি থেকে কিছুটা রক্ষা পেতে মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আমদানি করা গাড়িগুলোর বন্দর ভাড়া আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মওকুফ করা। বর্তমান স্থবির পরিস্থিতিতে বারভিডা কাস্টমস কর্তৃক বন্দরে গাড়ি নিলাম কার্যক্রম আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বন্ধ রাখা। ব্যাংকের ঋণখেলাপি হওয়া থেকে রক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণের কিস্তি প্রদানে যে সুবিধা দিয়েছে তা আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা। ব্যবসায়ীদের মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতি সামলে নিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বার্ষিক টার্নওভারের ভিত্তিতে সুদবিহীন/স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান। অর্থনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিল্প-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেতন প্রদান নিশ্চিত করতে সরকারের আর্থিক প্রণোদনা। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও অন্যান্য সেবাখাতের বিল প্রদান আগামী জুন মাস পর্যন্ত স্থগিত রাখা এবং বর্তমান মহামারী পরিস্থিতিতে বিশেষ করে দেশের প্রান্তিক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের উদ্যোক্তাদের সহযোগিতায় সুনির্দিষ্ট আর্থিক ও নীতি সহায়তা অব্যাহত রাখা।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান ব্যবসাবান্ধব ও জনবান্ধব সরকার দেশের ব্যবসায়ীদের আহ্বানে সবসময়ই আন্তরিকভাবে সাড়া দেয় এবং ব্যবসায়ীদের কল্যাণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। করোনাজনিত এই বৈশ্বিক সংকটে দেশের শিল্প-বাণিজ্য রক্ষায় সরকার আমাদের সহায়তায় সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আমরা আন্তরিকভাবে আশাবাদী।