শুক্রবার (১৩ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলসের সিলকন ভ্যালিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড আয়োজিত ‘বাংলাদেশ দি নেক্সট ইনভেস্টমেন্ট ফ্রন্টিয়ার’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য এখন আকর্ষণীয় স্থান। বিনিয়োগের জন্য সব ধরনের পরিবেশ এখন বাংলাদেশে বিদ্যমান। বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের দিকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকগুলোর কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বেশ কিছু স্পেশাল ইকোনমিক জোনে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে এসেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশিরা (এনআরবি) বিনিয়োগ করলে তারা লাভবান হবেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ সরকার বেশ কিছু আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব আনুষ্ঠানিকতা ওয়ান আমব্রেলা বা ওয়ান স্টপ সার্ভিসের আওতায় দ্রুত ও কম খরচে সম্পন্ন করা হচ্ছে। এখন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিকতা সংক্ষিপ্ত ও সহজ করা হয়েছে। বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট বিনিয়োগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ অনেক বেড়েছে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রফেসর কেভিন ই. গেলি, সেরফিয়া হালিম, প্রফেসর ডোরিয়ান লিপম্যান, বায়োস্কোপ ফিল্মস’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ হামিদ, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও টিনা জেবিন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলস্থ কনসাল জেনারেল তারেক মোহাম্মদ, বাণিজ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান, যুগ্ম-সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক সোহেলী সাবরীন, বাংলাদেশ ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শমি কায়সার, লস এঞ্জেলস্থ বাংলাদেশের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর এস এম খোরশিদ-উল-আলম এবং যুক্তরাষ্ট্রের টেকনোলজি সেক্টরের ব্যবসায়িক নেতা ও নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশিরা (এনআরবি)।