খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে গত ১৮ আগস্ট পর্যন্ত পাওয়া আবেদনপত্রগুলো যাচাই বাছাই করে এই অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে আমদানির জন্য বরাদ্দ দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, বরাদ্দ আদেশ জারির ১৫ দিনের মধ্যে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট-ঋণপত্র) খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ই-মেইলে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি অবহিত করতে হবে। আমদানিকারকদের আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশে বাজারজাতকরণ করতে হবে। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না।
এরমধ্যে নন বাসমতি সেদ্ধ চাল তিন লাখ ৬২ হাজার টন এবং আতপ চাল ৫৬ হাজার টন। চালে সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ ভাঙা দানা থাকতে পারবে। প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে।
চালের বাজার স্থিতিশীল পর্যায়ে ফিরিয়ে আনতে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। চাল আমদানি শুল্ক ও কর কমানোর অনুরোধ জানিয়ে গত ৬ জুলাই এনবিআরকে চিঠি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, ১২ আগস্ট চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক পাঁচ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে এনবিআর। এই সুবিধা আগামী আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে। চাল আমদানি করতে চাইলে আগামী ২৫ আগস্টের পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা যাবে না। এর আগে গত বছর চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশে নামানো হয়, যার মেয়াদ গত এপ্রিলে শেষ হয়েছে।