রোববার রাতে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, অনেক নারী ও মেয়ের জন্য হুমকিটা আসছে সেখান থেকেই, যেখানে তারা সবচেয়ে নিরাপদে থাকা উচিত- নিজের বাড়িতে। একারণে আমি বিশ্বজুড়ে প্রতিটি বাড়িতে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ জানাই।
নাম উল্লেখ না করে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, কিছু কিছু দেশে নারীদের সহায়তা চাওয়ার হার দ্বিগুণ হয়ে গেছে। করোনা সংকটে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ সদস্যের অভাব দেখা দিয়েছে, তারা অনেকটাই হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় সহায়তাকারী সংগঠনগুলো অর্থের অভাবে অচল হয়ে পড়েছে, নির্যাতিতদের কিছু আশ্রয়কেন্দ্র বন্ধ নাহয় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। একারণে আমি সব সরকারের কাছে আহ্বান জানাই, কোভিড-১৯ মোকাবিলা পরিকল্পনায় নারী সহিংসতা প্রতিরোধের বিষয়টিও অন্তর্ভূক্ত করা হোক।
গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ঘরোয়া নির্যাতনের শিকার হয়ে সাহায্যের জন্য ফোনকল আসা বেড়ে গেছে, লকডাউনের প্রথম সপ্তাহেই ভারতে নারী নির্যাতন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে, তুরস্কে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেয়ার পর থেকে নারী-হত্যার হার বেড়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় লকডাউনের প্রথম সপ্তাহে অন্তত ৯০ হাজার লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার অভিযোগ এসেছে।
এছাড়া, অস্ট্রেলীয় সরকারের কাছে অনলাইনে সাহায্যপ্রার্থনার হার বেড়েছে ৭৫ শতাংশ, এক সপ্তাহে ফ্রান্সে ঘরোয়া নির্যাতন বেড়েছে প্রায় ৩২ শতাংশ।